টুলকিট মামলার তদন্তে বাধা দিচ্ছে টুইটার
গুরুতর অভিযোগ আনল দিল্লি পুলিশ
তাদের মতে টুইটার মিথ্যা ধারণা তৈরি করতে চাইছে
তাদের ভন্ডামি ধরিয়ে দিল পুলিশ
টুলকিট মামলা নিয়ে টুইটার সংস্থার বিরুদ্ধে আইনী তদন্তকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনল দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার, এক বিবৃতি প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টুইটার একইসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচারক-এর মতো বিবৃতি দিচ্ছে। তবে তদন্তের আইনি অনুমোদন একমাত্র রয়েছে পুলিশের এবং বিতারের জন্য রয়েছে আদালত। তবে, সত্যিই যদি 'তদন্ত' করে সংস্থা এই বিষয়ে কিছু জানতে পারে, তাহলে সেই তথ্য তাদের অবশ্যই পুলিশকে জানাতে হবে। তবে তাদের কথায় বেশ কিছু ভুল দাবি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
প্রথমত, টুইটার চেষ্টা করছে এমন একটা ধারণা দেওয়ার যে এই তদন্ত হচ্ছে ভারত সরকারের নির্দেশে। কিন্তু, তা ঠিক নয়। বরং জাতীয় কংগ্রেসের এক প্রতিনিধির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ।
দ্বিতীয়ত, বিষয়টি তদন্তাধীন। কিন্তু, টুইটার সংস্থা এক কদম এগিয়ে আগেই ঘোষণা করেছে, টুলকিট ছিল 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া'। অর্থাৎ, এটা পরিষ্কার যে, এই মামলার বিষয়ে জানত টুইটার ইনকর্পোরেশন। আর তাদের হাতে এমন বৈধ তথ্য ছিল যা এই মামলার তদন্তের সাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, টুইটারকে বিভিন্ন মাধ্যমে, সংস্থার কাছে থাকা তথ্য সরবরাহের জন্য তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছিল।
তৃতীয়ত, অনুসন্ধানে অংশ নেওয়ার জন্য টুইটারকে নোটিশ পাঠানোর উদ্দেশ্য হ'ল তদন্তের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া এবং প্রাসঙ্গিক সমস্ত বিষয়কে নথিবদ্ধ করা। কিন্তু, টুইটার ইন্ডিয়ার সহায়ক সংস্থা টিসিআইপিএল-এর এমডি সহযোগিতার পরিবর্তে উদাসীনতার পথ অবলম্বন করেছেন। প্রাথমিকভাবে, তিনি বলেছিলেন, তিনি শুধুমাত্র বিক্রয় প্রধান ছিলেন। কনটেন্ট সম্পর্কিত কোনও কার্যকলাপে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। এই যুক্তি দেখিয়ে তিনি তদন্তে যোগ দেননি। মজার বিষয়, এর আগে কিন্তু একাধিক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আপত্তিজনক বা ম্যানিনুলেটেড কনটেন্ট সনাক্ত করার জন্য পদ্ধতিগুলি বিবর্তনের জন্য টুইটারের পরিকল্পনার উপর বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
চতুর্থত, টুইটার ইনকর্পোরেশনের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। টিসিআইপিএল-এর এমডি কে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, অভিযুক্ত হিসাবে নয়, বরং তদন্তে অংশ নেওয়ার জন্য। কারণ, টুইটারের এই মামলার সত্যতার বিষয়ে জানে বলে দাবি করেছিল।