করোনা ভাইরাসের আতুঁড়ঘর চিন, বন্ধ হল বিমান পরিষেবা ভারত-চিনের

  • যত দিন যাচ্ছে মহামারির আকার ধারণ করছে এই রোগ
  •  করোনা আতঙ্কে উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা
  • ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত উড়ান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
  • সংক্রমণ এড়াতে সব রকমের তৎপরতা জারি হয়েছে

Riya Das | Published : Jan 30, 2020 6:09 AM IST

করোনা ভাইরাস। নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপছে চিন।  শুধু চিন নয়, চিনের পাশাপাশি একের পর এক শহরে মুহূর্তের মধ্যে প্রবেশ করছে এই ভাইরাস।  একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।  মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। নোবেলা করোনা প্রকৃতির এই করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে।  হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। আর এই কারণেই চিন্তা বাড়ছে চিনা প্রশাসনের। 

আরও পড়ুন-করোনা ভাইরাসের জেরে বিমানে বন্ধ খাবার, হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা...

যত দিন যাচ্ছে মহামারির আকার ধারণ করছে এই রোগ। যার জেরে জেরবার প্রশাসন। আর এই করোনা আতঙ্কে বেঙ্গালুরু-হংকং রুটের উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই রুটে সমস্ত উড়ান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি  পর্যন্ত ইন্ডিগোর  উড়ান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আগামীকাল থেকেই দিল্লি এবং সাংহাই রুটে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্টায়ত্ত বিমান সংস্থা। 

 

 

কলকাতা ও চিনের গুয়াংঝুর মধ্যে আপাতত উড়ান পরিষেবা বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিগো। এই উড়ানের কোনও কর্মী চিনে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন, ফিরতি বিমানেই তার দেশে ফিরে আসবেন। তবে পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আরও ৬০০০ মানুষের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস।  এই রোগের সমাধান কবে বা কীসে মিলবে এই নিয়ে চিন্তিত চিন প্রশাসন। সংক্রমন এড়াতে সব রকমের তৎপরতা জারি হয়েছে।  অধিকাংশ বিমানেই গরম খাবার,কম্বল  দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।  ব্যক্তির স্পর্শ থেকে যেভাবে রোগ ছড়াচ্ছে  তা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-চিনা ভূখণ্ডের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস, করোনায় মৃত্যু মিছিল বেড়ে ১৭০...

এছাড়া চিনা এয়ারলাইন্সে ইতিমধ্যেই যাত্রীদের  নিজস্ব বোতল আনার পরামর্শ দিয়েছেন।  সমস্ত বিমানে খাবার দেওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।  এমনকী টেবিল ক্লখ, ন্যাপকিনের মতো পুনর্ব্যবহার্য দ্রব্যের বদলে পেপার টাওয়েল যা একবার ব্যবহার্য  তাই ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী বালিশ, কম্বল, তোয়ালে, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্রও বন্ধ করা হয়েছে। হংকংয়ের বিমানবন্দরেও একই হাল। পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। সেখানেও অনেকের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যার ফলে পর্যটন ব্যবস্থাও জোর ধাক্কা খেয়েছে।

Share this article
click me!