করোনায় চাকরি হারানোর ভয়ে আত্মঘাতী ২ বাঙালি, বৃদ্ধির হার পিছিয়ে যাবে ৫০ বছর আগে

Published : Mar 26, 2020, 10:15 PM IST
করোনায় চাকরি হারানোর ভয়ে আত্মঘাতী ২ বাঙালি, বৃদ্ধির হার পিছিয়ে যাবে ৫০ বছর আগে

সংক্ষিপ্ত

করোনার মরশুমে বেড়ে চলেছে কাজ হারানোর আশঙ্কা লকডাউনের মধ্য়ে ইতিমধ্য়েই আত্মঘাতী দুই বাঙালি এই পরিস্থিতিতে বন্ধ সাময়িকভাবে বেতন ছাড়াই বন্ধ এক স্য়াটেলাইট চ্য়ানেল ব্রিটিশ সংস্থার পূর্বাভাস, দেশে বৃদ্ধির হার পিছিয়ে যেতে পারে ৫০ বছর আগে

ঘটনা-১

করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে চাকরি হারানোর ভয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক বৃদ্ধ। নাম মৃদুল সাহা। বয়স ৭০। তিনি ছিলেন হেড ক্য়াশিয়ার। পোস্তার একটি সংস্থায় তিনি  কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে ।

 ঘটনা-২

লকডাউনের মরশুমে আরও এক আত্মহত্য়া। কলকাতার সন্তোষপুর এক্সচেঞ্জে কাজ করতেন বিএসএনএল কর্মী সুজয় ঘোষ। বছর চুয়াল্লিশের ওই  কর্মী বিষ খেয়ে  বিষ খেয়ে আত্মহত্য়া করেছেন বলে খবর। এমনতিও দীর্ঘদিন ধরে কোনও বেতন পাননি তিনি। তারওপর আবার খাঁড়ার ঘা পড়ে যখন লকডাউন শুরু হয় দেশে।

ঘটনা-৩

করোনা পরিস্থিতির জেরে সাময়িকভাবে হলেও বন্ধ হয়ে গেল একটি বাংলা স্য়াটেলাইট চ্য়ানেল। এপ্রিল মাসে আবার খোলার কথা। খুলবে কিনা সেই অনিশ্চিয়তায় রয়েছেন সংস্থার কর্মচারীরা। কর্তৃপক্ষ তাদের নোটিসে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, সংস্থা বন্ধ থাকাকালীন সময়ের কোনওরকম বেতন পাবেন না কেউ।

 টুকরো টুকরো এইসব ছবির কোলাজ দেখে কেউ কেউ অবশ্য় বলছেন-- ইয়ে তো ট্রেলার হ্য়য়, পুরি ফিল্ম আভি বাকি হ্য়ায়।

ফিল্ম যে আরও বাকি আছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ব্রিটিশ বোকারেজ সংস্থা বার্কলেজের একটি সমীক্ষা। আপাতত দেশে চার সপ্তাহ সম্মূর্ণ লকডাউন চলবে। আংশিক লকডাউন চলবে আরও অন্তত আট সপ্তাহ। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই নতুন অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাশিক জুড়ে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে এই করোনা পরিস্থিতি। আর তার ফলে, তলানীতে থাকা বৃদ্ধির হার আরও তলানিতে গিয়ে দাঁড়াবে ২.৫ শতাংশ। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে আমাদের দেশের যা জিডিপি ছিল, সেই হিন্দু রেট অব গ্রোথই কার্যত ফিরে আসতে চলেছে এই দেশে।বার্কলেজ তাদের সমীক্ষায় আরও জানিয়েছে, করোনা চলে যাওয়ার পর ভারত এক বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি দাঁড়াবে। আর সেই ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা! এমনিতেই এদেশে নতুন চাকরির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই  চলে। গত ৪৫ বছরে বেকারির হার সর্বোচ্চ। অর্থনীতিতে চাহিদার চাকা না-ঘোরায় নতুন কোনও বিনিয়োগও নেই। এই পরিস্থিতিতে, নতুন কাজ তো দূরের কথা, চালু শিল্পেও চলছে ক্রমাগত ছাঁটাই। গাড়ি শিল্প থেকে আবাসন শিল্প, একে একে সব মুখ থুবড়ে পড়ছে সব। এর ওপর করোনা ও তৎজনিত লকডাউনের ধাক্কা সামলে ওঠা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে সরকাররের কাছে। বিশেষ করে যদি বৃদ্ধির হার পিছিয়ে  যায় পঞ্চাশ বছর আগে।

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি