করোনা আতঙ্ক, আইসোলেশন থেকে উধাও ২ যুবক

  • করোনা আক্রান্তের ২ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
  • তাদের মধ্যে একজন করোনার আতুড়ঘর উহান থেকে ফিরেছেন
  • তিন দিন আগেই চিন থেকে ফেরা এক যুবকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না
  • বিমানেই একজনের করোনা ধরা পড়ায় তাকেও  আইসোলেশনে রাখা হয়

Riya Das | Published : Feb 3, 2020 11:15 AM IST

করোনা ভাইরাস নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।  মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সর্তকতা নেওয়া হয়েছে।  থার মধ্যেই এই আতঙ্ক এবার আরও বেড়ে উঠেছে মধ্যপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্তের ২ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে একজন করোনার আতুড়ঘর উহান থেকে ফিরেছেন।

আরও পড়ুন-১০ হাজারেরও বেশি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ইনস্টাগ্রামের, আপনি নেই তো সেই তালিকায়...

 উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র চিন থেকে ফেরার পর তার ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা  দেখা যায়। কোনওকিছু না ভেবেই তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে  পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। গতকাল তার রক্তের নমুনা সংগ্রহের কথা ছিল। আর সেই সময় থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মুহূর্তের মধ্যে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ডাক্তার ও হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে। করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপছে চিন।  নোবেলা করোনা প্রকৃতির এই করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে।  হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। 

 

অন্যদিকে তিন দিন আগেই চিন থেকে ফেরা এক যুবকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।  চিন থেকে দিল্লির বিমান ধরে জব্বলপুর ফেরে ওই যুবক। কিন্তু ওই বিমানেই একজনের করোনা ধরা পড়ায় তাকেও  আইসোলেশনে রাখা হয়। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারাও কোনও খোঁজ দিতে পারেনি।  করোনা ভাইরাসের বাহক হল মানুষ। মানুষের সংস্পর্শেই সংক্রমিত হচ্ছে এই করোনা ভাইরাস । দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যা নিশ্চিত করলেন চিনের চিকিৎসকরা।  আর এই কারণেই চিন্তা বাড়ছে চিনা প্রশাসনের।  এই রোগের সমাধান কবে বা কীসে মিলবে এই নিয়ে চিন্তিত চিন প্রশাসন। সংক্রমন এড়াতে সব রকমের তৎপরতা জারি হয়েছে।  অধিকাংশ বিমানেই গরম খাবার,কম্বল  দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।  ব্যক্তির স্পর্শ থেকে যেভাবে রোগ ছড়াচ্ছে  তা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Share this article
click me!