শীতের সমর সজ্জায় বিশেষ জোর ভারতীয় সেনা বাহিনীর, সিয়াচেনের সঙ্গে প্যাংগং-এও চলছে প্রস্তুতি

শীতকালে প্যাংগং লেক এলাকায় চলবে সেনা টহল
প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় জওয়ানরা 
কিছু সমর যান সংগ্রহের ওপর জোর দিচ্ছে ভারত
প্রয়োজনী অস্ত্রও সংগ্রহ করতে চাইছে 

Asianet News Bangla | Published : Aug 11, 2020 8:28 AM IST / Updated: Aug 11 2020, 02:09 PM IST

সিয়াচেনের পাশাপাশি লাদাখের প্যাংগং-এও শীতকালে সেনা মোতায়েন রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে ভারতীয় সেনা। আর সেই কারণেই ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। শুধু সেনা মোতায়েন নয়। অস্ত্র সম্ভার বাড়াতেও উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় বাহিনী। আর সেই দিকেই নজর রেখে প্যাংগং লেকে নজরদারী চালানোর জন্য লম্বা পরিসরের  উন্নত প্রযুক্তির ১০-১৫টি  হেরন ইউএভি ও ২০-২৫টি মাল্টি কপ্টার সংগ্রহের ওপর জোর দিচ্ছে বলেও সেনা সূত্রে খবর। 

সেনা সূত্রের খবর সেনা বাহিনীর ১৪ নম্বর কর্পস প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার চিনা সেনাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সীমান্ত পাহারা দেব। আর সেই কারণেই ভারতীয় সেনা ইউএভি, দ্রুত ইন্টারসেপ্টর নৌকা আর অর টেরেইন ভেহিকেল সংগ্রহ করতে চাইছে। সেনা চাইছে তাদের হাতে আসুক চক্রযুক্ত সাঁজোয়া কর্মীবাহক গাড়ি বা এটিভি। 

পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখার উত্তরে এলএসি ছাড়াও সিয়াচেন সিয়াচেন হিমবাহে মোতায়েন করা হয়েছে ইস্রায়েলি স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, দূরপাল্লার নজরদারী ক্যামেরা ও ছোট আকারের অ্যাম্বুলেন্স। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনা সেনারও ওপরন কড়া নজরদারী চালাচ্ছে ভারত। আর সেই কারণে আরও সমর যানের প্রয়োজনিয়তা বাড়ছে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে ৪০ টি স্পাইক এটিজিএম ক্ষেপণাস্ত্র, ৫০টিরও বেশি চাকাযুক্ত সাঁজোয়া গাড়ি। আর প্রয়োজন রয়েছে ২০-৩০টি অ্যান্টিমেটাল রাইফেল, এটিভি। 

শীতকালীন প্রস্তুতি হিসেবে ১৪নম্বর কর্পস চেয়েছে ওয়াটার প্রফ ওয়াডার বুটস আর বরফ কাটার অস্ত্রসহ গাড়ি। তবে এইজাতীয় সামগ্রী কতটা প্রয়োজন রয়েছে তা এখনও জানাননি সেনা কর্তারা। সেনা সূত্রের খবর গালওয়ানে চিনা সেনারা রীতিমত তৈরি হয়েই এসেছিল। কিন্তু সেই সময় ভারতীয় সেনার হাতে কিছুই ছিল না। তাই আগামী দিনে যদি কোনও রকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তারজন্য লাল ফৌজদের যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত হয়েই থাকতে চায় ভারতীয় বাহিনী। শীতাকালে মোতায়েন থাকার জন্য সেনাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।অতিরিক্ত  ৩০ হাজার সেনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের পর্যাপ্ত রেশন ও রসদও সরবরাহেরও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর।  


একটি সূত্র জানাচ্ছে সেনার তালিকাটি উত্তর কমান্ডার দ্বারা অনুসরণ করা হবে। সমস্ত সরঞ্জাম হাতে এসে গেলে আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা আরও বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে সেনা বাহিনী সূত্রে। বেশ কয়েকটি আলোচনার পরেও এখনও পর্যন্ত পূর্ব লাদাখ সীমান্তের জট কাটেনি। তাই আগামী দিনেও সীমান্ত উত্তাপ কমার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম রয়েছে বলেই মনে করেছে সেনাবাহিনীর কর্তারা। তাই সীমান্ত রক্ষার জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও সেনা সূত্রের খবর।  

Share this article
click me!