পরিসংখ্যান বলছে দেশে ক্রমেই কমছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। বাড়ছে বেকারত্ব। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কী ঘোষণা করেন সেদিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। বাজেটে অর্থমন্ত্রী চাকরিভিত্তিক শিক্ষার দিকে জোর দিয়েছেন। স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্পে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য শীঘ্রই নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বাজেটে জাতীয় ফরেন্সিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব রেখেছেন নির্মলা। বর্তমান সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অধিকাংশ পড়ুয়াই শিক্ষাঋণের সাহায্য নেন। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে শিক্ষা-ঋণ বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। কেন্দ্র অনলাইনে স্নাতকোত্তর শিক্ষা চালু করার চেষ্টা করছে।
২০২০-২১ আর্থিক বছরের জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে ৯৯,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল ব়্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের তালিকায় সেরা ১০০টি প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি স্তরে কোর্স চালু করা হবে।
এশিয়া ও আফ্রিকার ছাত্ররা যাতে ভারতে বেশি করে পড়তে আসেন সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র। সেকারমে এবার থেকে স্যাটে বসতে পাড়বেন এশিয়া ও আফ্রিকার পড়ুয়ারা।
শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পিপিপি মডেলে তৈরি হবে মেডিক্যাল কলেজ। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসক সমস্যা মেটাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়া ১২২টি জেলায় তৈরি হবে নতুন হাসপাতাল।
প্রতিটি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সস্তায় ওষুধের দোকানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। আয়ুষ্মনা ভারত প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে চাইছে ভারত সরকার। সেই কারণে আয়ুষ্মান ভারতের অন্তর্গত হাসপাতালে পিপিপি মডেল তৈরি করা হবে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৫টি নতুন টিকার কথা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে লাইফস্টাইল সমস্যা থেকে সৃষ্টি হয় এমন রোগ প্রতিরোধ করা যাবে। ১২টি রোগ নির্মূল করতে 'মিশন ইন্দ্রধনুষ' প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষা নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র।