বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। কেন্দ্র সূত্রে খবর, সকাল ১১টায় এই বৈঠক হবে। মন্ত্রিসভায় এবার কি শিঁকে ছিঁড়বে বাংলার। বাংলার কোনও বিজেপি নেতা কি পেতে চলেছেন মন্ত্রীত্ব, জল্পনা তুঙ্গে। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় কোনও রদবদল হয়নি। তাই জল্পনা বাড়ছে।
সূত্রের খবর, রদবদলই শুধু নয়, আকারে বাড়তে পারে মোদীর মন্ত্রিসভার পরিসর। ফলে নতুন মন্ত্রীদের দিকে নজর থাকবে। বাংলা থেকে কারা পেতে পারেন মন্ত্রীত্ব তা নিয়ে আলোচনা চলছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশা মতো ফল করতে পারেনি বিজেপি। আর তারপর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদে রাখা হবে কি না তা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী, তাঁকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সংগঠনে রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই।
তবে দিলীপবাবুকে সরিয়ে শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি করা হবে না কি না তা নিয়ে একাধিক মতবিরোধ রয়েছে। কারণ দিলীপ ঘোষ সঙ্ঘ পরিবারের অত্যন্ত কাছের। সঙ্ঘ পরিবারের একটা অংশ তিনি। আর তাঁকে সরিয়ে শুভেন্দুকে বসালে সেটা সঙ্ঘ ভালো চোখে নাও নিতে পারে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাজ্য সভাপতির পরিবর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিতে পারেন দিলীপ ঘোষ।
এদিকে, দিন কয়েক ধরেই একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। মন্ত্রীত্বের গন্ধ পেয়ে দিল্লি দরবারে হাজির হয়েছেন বহু রাজ্য নেতাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো নেতারা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন উত্তরাখন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতও।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একাধিক পদ খালি। এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে শিরোমণি অকালি দল ও শিব সেনা। লোক জনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর খালি হয়েছে মন্ত্রীপদ। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি পদ তৈরি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।