দৃঢ় অর্থনৈতিক নীতি কেউ গ্রহণ করে না, ধারণাটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে - বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

ভারতে সংস্কার বাস্তবায়নের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

'কেন্দ্র-রাজ্য ভাগিদারি'র চেতনা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে তার সরকার তা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী

এই বিষয়ে একটি একটি ব্লগ পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

তিনি বলেছিলেন, জটিল চ্যালেঞ্জযুক্ত একটি বৃহৎ দেশের জন্য এটি একটি অনন্য অভিজ্ঞতা ছিল

Asianet News Bangla | Published : Jun 22, 2021 11:17 AM IST

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার একটি 'মহাদেশীয় মাপের যুক্তরাষ্ট্রীয় দেশে' সংস্কার বাস্তবায়নের প্রশংসা করেছেন এবং করোনাভাইরাস মহামারির সময় তারা কীভাবে 'কেন্দ্র-রাজ্য ভাগিদারি'র চেতনা এগিয়ে vf/s  গিয়েছেন, তা তুলে ধরেছিলেন।

একটি ব্লগ পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, 'আমাদের মতো জটিল চ্যালেঞ্জযুক্ত একটি বৃহৎ দেশের জন্য এটি একটি অনন্য অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা প্রায়শই দেখেছি যে বিভিন্ন কারণে, পরিকল্পনা এবং সংস্কারগুলি বছরের পর বছর ধরে প্রায়শই কার্যকর হয় না। কিন্তু, অতীতের সেই অবস্থান ছাড়িয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি মহামারি চলাকালীন অল্প সময়ের মধ্যে জনবান্ধব-সংস্কার সাধনের জন্য একত্রিত হয়েছিল। আমাদের সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাসের পদ্ধতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল।'

দৃঢ়প্রত্যয় ও উত্সাহের মাধ্যমে সংস্কারের নতুন মডেলের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাগরিকদের উন্নতির জন্য কঠোর সময়ে এই নীতিমালা প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বদানকারী সকল রাজ্যের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, দৃঢ় অর্থনৈতিক নীতিসমূহ কেউ গ্রহণ করবে না, এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, 'ভারতীয় জনঅর্থনীতিতে সংস্কারের ধাক্কা বিরল। এই ধাক্কা, রাজ্যগুলিকে অতিরিক্ত তহবিল গ্রহণের জন্য প্রগতিশীল নীতি গ্রহণ করতে উত্সাহিত করেছিল। এই অনুশীলনের ফলাফল কেবলমাত্র উত্সাহব্যঞ্জক নয়, দৃঢ় অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণকারীর সংখ্যা সীমিত এই ধারণারও বিপরীত।'

তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্বজুড়ে দেখা দেওয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় রাজ্যগুলি ২০২০-২১ সালে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি ঋণ নিতে সক্ষম হয়েছিল এবং ২০২০-২১ সালে অতিরিক্ত ১.০৬ লক্ষ কোটি টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
 
তিনি জানিয়েছিলেন যে ২৩ টি রাজ্য সম্ভাব্য ২.১৪ লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত ঋণের মধ্যে ১.০৬  লক্ষ কোটি টাকা গ্রহণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ সালের জন্য রাজ্যগুলির মোট ঋণ গ্রহণের অনুমোদন (শর্তসাপেক্ষ এবং শর্তহীন) প্রাথমিকভাবে অনুমান করা জিএসডিপির (GSDP) ৪.৫ শতাংশ ছিল।

 

Share this article
click me!