গত লোকসভা নির্বাচনে প্রদেশের আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধীকে তিনি হারিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও তাঁর শান্তি নেই। এবার আমেঠিতে জমি কিনে আবারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি নাম না নিশানা করেন ওয়াইনাডের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। তিনি বলেন আমেঠির কোনও সাংসদই নির্বাচনী কেন্দ্রে নিজের জন্য কোনও বাড়ি তৈরি করেননি। এখানেই শেষ করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে এখানে কোনও সাংসদই স্থায়ীভাবে থাককেননি।
স্মৃতি ইরানি আরও বলেছেন আমেঠির বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরেই ভাবতেন যদি তাঁদের সাংসদরা এখানকার বাসিন্দা হতেন, এখানেই থাকতেন। তিনি আরও বলেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি স্থানীয়দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি আমেঠিতে বাড়ি তৈরি করবেন। আর এলাকার উন্নয়নের জন্য সব কাজ করবেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুরণ করার জন্য তিনি আমেঠিতে একটি জমি কিনেছেন বলেও জানিয়েছেন। আমেঠিক গৌরীগঞ্জের মদন মাওয়াই এলাতায় ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি প্লট কিনেছেন। আর সেই সোমবারই রেজিস্ট্রি করেছেন। তিনি বলেছেন আমেঠিতে এলে তাঁরা ভাড়া বাড়িতে থাকতে হয়। ভূমি পুজোর সময় তিনি আমেঠির বাসিন্দাদের আশীর্বাদ চাইবেন বলেও জানিয়েছেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ভোট প্রচারে স্মৃতি ইরানি আমেঠিকে বাইপাস রাস্তা নির্মাণ ও মেডিক্যাল কলেজ ও সেনা স্কুল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করেছেন বলেও দাবি করেছেন স্মৃতি ইরানি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে লকডাউনের সময় রাহুল গান্ধী আমেঠির বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছিলেন। সেই সময়ই পাল্টা আমেঠিতে ত্রাণ পাঠিয়ে ছিলেন স্মৃতি ইরানিও। ভোট যুদ্ধের পরেও আমেঠি নিয়ে স্মৃতি ইরানি আর রাহুল গান্ধীর মধ্যে যে ঠান্ডা লড়াই চলছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।