শুধুমাত্র মহিলাগদের দ্বারা পরিচালিত ভারতের দীর্ঘতম বাণিজ্যিক উড়ানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়ালকে এবার প্রজন্ম সমতার মুখপাত্র বাছল রাষ্ট্রসংঘ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার কমান্ডার তথা মহিলা পাইলট, ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো, সানফ্রান্সিসকো থেকে বেঙ্গালুরু - ভারতের দীর্ঘতম বিরতিহীন বাণিজ্যিক উড়ান পরিচালনা করেছিলেন শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে গঠিত একটি দল। চলতি সপ্তাহে, তাঁর মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করলেন ক্যাপ্টেন আগরওয়াল। জেনারেশন ইকুয়ালিটি বা প্রজন্ম সমতার মুখপাত্র হিসেবে তাঁকেই বেছে নিল রাষ্ট্রসংঘ। সেইসঙ্গে প্রথমবারের মতো তরুণদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে, আন্তর্জাতিক যুব দিবসে ভারত এবং এয়ার ইন্ডিয়ার অবদানও তুলে ধরেছে রাষ্ট্রসংঘ।
এই সম্মান প্রাপ্তির পর, সংবাদসংস্থা এএনআইকে ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল বলেছেন, এই সম্মান পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ। এয়ার ইন্ডিয়ার পতাকাবাহক হিসাবে রাষ্ট্রসংঘের মহিলাদের প্ল্যাটফর্মে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো। সারা বিশ্বে জাতীয় পতাকা বহন করতে পেরে তিনি অত্যন্ত সম্মানিত এবং গর্বিত বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, ক্যাপ্টেন জোয়া তাঁর এই কৃতিত্বের জন্য সরকার এবং এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ, পাইলটের উর্দি পড়ে দেশ সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আর সেই সুযোগই আজ তাঁকে রাষ্ট্রসংঘে মহিলাদের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। গ্রেটা থানবার্গের মতো একজন অসাধারণ নারীর পাশে দাঁড়ানোয় সুযোগ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন - ভারতের প্রথম মহাকাশ পর্যটক হতে চলেছেন কেরলের এই ব্যবসায়ী, খরচ করেছেন ১.৮ কোটি টাকা
আরও পড়ুন - Nirbhay Cruise Missile - সফল দেশি ইঞ্জিন, তাও মাঝপথে পড়ে গেল ডিআইডিওর ক্ষেপণাস্ত্র
শুধু তাই নয়, তিনি চান, পরবর্তী প্রজন্মের মহিলারা, স্বপ্নকে ছোঁওয়ার দৌড়ে হার না মানার জন্য অনুপ্রাণিত করতে। নিজের কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, আশেপাশ থেকে তাঁর উত্থানের পথে অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু, তিনি নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন এবং নিজের কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন। সাংবাদিকদের এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট জানিয়েছেন, তিনি মাত্র আট বছর বয়সে তারা ছুঁতে চেয়েছিলেন। আর তার থেকেই শুরু হয়েছিল স্বপ্ন দেখা। অথচ, তিনি যে পরিবেশে বড় হয়েছেন, সেখানে মহিলাদের এই ধরনের স্বপ্ন দেখার অনুমতিও ছিল না। তিনি যদি পেরে থাকেন, তাহলে প্রত্যেক মহিলারই স্বপ্ন দেখা উচিত এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নিজের উপর বিশ্বাস রাখা উচিত, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তার জন্য কঠোর পরিশ্রম, মনোসংযোগ এবং একশো শতাংশ দিতে হবে, হাল ছাড়লে চলবে না।