
'সংসদ যে স্তরে নেমে গিয়েছে, তাতে দেশবাসীর মাথা লজ্জায় হেট হয়ে গিয়েছে'।
সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিন রাজ্যসভায় মার্শাল ও বিরোধীদের সংঘর্ষ নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার সেই বিতর্কে অংশ নিলেন জাগ্গি বাসুদেব, যিনি বেশি পরিচিত সদগুরু নামেই। সংসদের ওই অভূতপূর্ব ঘটনা এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই বাদল অধিবেশনের পরিসমাপ্তি নিয়ে মোদী সরকার এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে বাদানুবাদের মধ্যেই এদিন তিনি এই বিষয়ে টুইট করলেন।
টুইটে সদগুরু বলেন, 'সংসদ যেখানে নেমে গিয়েছে তার জন্য দেশের মাথা লজ্জায় হেট হয়ে গিয়েছে। দায়িত্ববোধ ছাড়া আমাদের কঠিন লড়াই করে জেতা স্বাধীনতাও তুচ্ছ। ভারতের কল্যাণকে অন্য সব বিবেচনার উপরে রাখতে হবে।'
বসতুত, এবারের বাদল অধিবেশনের শুরু পেগাসাস নজরদারি বিতর্ক, কৃষি বিল বিতর্ক, মুদ্রাস্ফীতির মতো বি,য় নিয়ে বারেবারে ব্যহত হয়েছে সভার কাজ। লোকসভা, রাজ্যসভা - দুই কক্ষেরই কার্যক্রম বারবার বন্ধ রাখতে হয়েছে। অবস্থা চরমে পৌঁছায় গত বুধবার, ১১ অগাস্ট। রাজ্যসভার ভিতরে, বিরোধী সাংসদ এবং রাজ্যসভার মার্শালরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে, কংগ্রেসের কয়েকজন রাজ্যসভার মহিলা সাংসদ অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানানোর সময়ে, পুরুষ মার্শালরা তাদের হেনস্থা করেছে।
এই নিয়ে বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট সকালেই ১৫ জন বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে বিজয় চকে প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁরা দাবি করেন, পেগাসাস, মুদ্রাস্ফীতি, কৃষকদের সমস্যা - সংসদে সব বিষয়ই উত্থাপন করেছেন বিরোধীরা। কিন্তু, তাদের কথা বলতে দেয়নি মোদী সরকার। রাজ্যসভায় ওইদিন মার্শালদের পোশাক পরিয়ে বাইরের লোক ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। বিষয়টিকে গণতন্ত্রের হত্যাকাণ্ড হিসাবেই বর্ণনা করেন তারা।
আরও পড়ুন - ভারতের প্রথম মহাকাশ পর্যটক হতে চলেছেন কেরলের এই ব্যবসায়ী, খরচ করেছেন ১.৮ কোটি টাকা
আরও পড়ুন - Nirbhay Cruise Missile - সফল দেশি ইঞ্জিন, তাও মাঝপথে পড়ে গেল ডিআইডিওর ক্ষেপণাস্ত্র
এরপরই, পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় গিয়েছিল মোদী সরকার। সংসদীয় বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং অনুরাগ ঠাকুর, পীযুষ গয়াল-সহ ৭ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকার পক্ষের সমর্থনে মাঠে নামেন। বাদল অধিবেশনের ই আকস্মিক সমাপ্তির দায় তারা বিরোধীদের 'বিভ্রান্তিকর এবং হুমকীপূর্ণ আচরণে'র উপর চাপান। দেশের মানুষের উদ্বেগের দূর করার চেষ্টা না করে তারা সংসদের কাজে বারবার বাধা দিয়েছে। এর জন্য বিরোধীদের লজ্জা পাওয়া উচিত এবং এই দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত, বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা।