উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুর পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। আবারও কাঠগড়ায় যোগী রাজ্যের পুলিশ। বলা ভাল ফের চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠল উন্নাওয়ের পুলিশের বিরুদ্ধে।
শনিবার উন্নাওয়ের বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেন, থানায় গেলেও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। থানায় গেলে অভিযোগ না নিয়ে পুলিশ তাঁকে বলে, ধর্ষণ হলে তখন অভিযোগ জানাতে আসতে।
ওই মহিলার দাবি, তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টার পরেই উন্নাওয়ের বিহার পুলিশ স্টেশনে তিনি অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে বলে, 'ধর্ষণ তো হয়নি, যখন হবে তখন দেখা যাবে।'
ঘটনাচক্রে যে গ্রামে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন- উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদ, শিশুকন্যার শরীরে পেট্রল ঢাললেন দিল্লির মহিলা
আরও পড়ুন- গোটা শরীরটাই পুড়ে গিয়েছে, উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে সমাহিত করবে পরিবার
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে ওই অভিযোগকারিণীর দাবি, কয়েক মাস আগে ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। রাম মিলন, গুড্ডু এবং রাম বাবু নামে তিন অভিযুক্তকে শনাক্তও করেন তিনি। পুলিশের উদাসীনতা দেখে মহিলার প্রশ্ন, 'থানা থেকে বলল ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। ধর্ষণ তো হয়নি। ধর্ষণের পরেই যদি আমি বিচার পাই তাহলে আর তাতে লাভ কী হল?'
মহিলার অভিযোগ, তিন মাস ধরে উন্নাও এবং বিহার থানায় গেলেও তাঁর অভিযোগকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি।
ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে তিনি ১০৯০ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান। সেখান থেকে তাঁকে ১০০ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়। ১০০ নম্বরে ফোন করলে তাঁকে উন্নাওতে অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
ওই অভিযোগকারিণীর দাবি, অভিযুক্তরা প্রায় প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে প্রাণে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগ না জানানোর জন্য় চাপ দিচ্ছে তারা।
ওই মহিলার অভিযোগ, উন্নাও থানায় গেলে তাঁকে বিহার থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে গেলেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত তিন মাস ধরে এভাবেই তাঁকে হয়রান হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ওই মহিলার।
যদিও এই বিষয়ে উন্নাওয়ের আইজি এস কো ভগতের দাবি, তাঁর কাছে কেউ এমন অভিযোগ জানাতে আসেননি।