ভাইয়া মুঝে বাঁচালো-মুঝে মরনা নেহি হ্যায়, শেষ আর্জি ছিল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার

  • আগুন জ্বলছে সারা শরীরে
  •  তাই নিয়েই ছুটেছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা
  •  প্রাণ বাঁচাতে প্রায় এক কিলোমিটার ছুট দিয়েছিলেন তিনি
  • আশ্রয়দাতাকে পাশে  পেয়ে একই কথা আওড়েছিলেন নির্যাতিতা

আগুন জ্বলছে সারা শরীরে। তাই নিয়েই ছুটেছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় এক কিলোমিটার ছুট দিয়েছিলেন তিনি। শেষে দেখা মেলে উদ্ধারকারীর। উন্নাওযের নির্যাতিতার হাল দেখে পাশে দাঁড়ান রবীন্দ্র প্রকাশ সিং। আশ্রয়দাতাকে পাশে  পেয়ে একই কথা আওড়ে চলেছিলেন নির্যাতিতা। 'ভাইয়া মুঝে বাঁচালো। মুঝে মরনা নেহি হ্যায়।'  

বৃহস্পতিবার ভোরে গণধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য উন্নাও থেকে রায়বরেলি রওনা দিয়েছিলেন উন্নাওয়ের ওই যুবতী। কাকভোরে বিহারের বাইশওয়াড়া স্টেশনের দিকে রওনা হয় সে। কিন্তু স্টেশন পৌঁছনোর আগেই তার পথ আটকায় হরিশংকর ত্রিবেদী, শুভম, কিশোর, শিবম ও উমেশ। অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে ওই যুবতীর মাথায় আঘাত করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে নির্যাতিতাকে। যন্ত্রণায় মাটিতে কাতরাতে থাকলে গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাকে। 

Latest Videos

উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদ, শিশুকন্যার শরীরে পেট্রল ঢাললেন দিল্লির মহিলা

প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাহায্যর জন্য চিৎকার করতে করতে ছুটতে থাকেন যুবতী। অবশেষে প্রায় এক কিলোমিটার পর তিনি রবীন্দ্রপ্রকাশ সিংয়ের দেখা পান। সেখান থেকে লখনউয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাওয়ায় পরে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। সেখানে উদ্ধারকারীর কাছে কাতর শেষ আর্জি জানান নির্যাতিতা। বার বার বলতে থাকেন,'ভাইয়া মুঝে বাঁচালো। মুঝে মরনা নেহি হ্যায়। জিনহো নে মেরে সাথ এ কিয়া  হ্যায়, উনহে মে মউত কি সজা পাতে দেখ না চাহতি হু।'  

কিন্তু শেষ দেখা হল না। শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উন্নাওয়ের অগ্নিদগ্ধ যুবতী। হায়দরাবাদের পর এবার উন্নাওয়ের বিচার চেয়ে ফুঁসছে দেশ। ডাক্তাররা জানিয়েছেন,৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার পরই রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান যুবতী। শেষমেশ জীবন যুদ্ধে হার মানতে হয় তাঁকে। হায়দরাবাদ গণধর্ষণে চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে খতম করেছে পুলিশ। যার জেরে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে দেশজুড়ে। প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ ট্রাক চালকে বলেই ওদের খতম করতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু উন্নাওয়ের গণধর্ষণে একাধিক নেতার নাম জড়িত থাকাতেই কি  তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করছে প্রশাসন।

মেয়েকে যারা জ্বালিয়েছে তাদের গুলি করে মারো, রাগে অগ্নিশর্মা পিতার আর্জি

উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের গ্রামে গণধর্ষণ করা হয় বছর তেইশের ওই যুবতীকে। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয় আদালতের নির্দেশে গ্রামেরই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও সে কিছুদিনের মধ্যেই জামিনও পেয়ে যায়। আদালতে যাওয়ার পথে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে সেই অভিযুক্তরাই।

Share this article
click me!

Latest Videos

'চিন্ময় প্রভুকে ছেড়ে দিলেই শান্ত হবে Bangladesh' ভারতে এসে আতঙ্কের অভিজ্ঞতা এক বাংলাদেশীর
মালদার কালিয়াচকে ভাগবত পাঠে বাধা দিয়ে মহারাজকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, দেখুন কী অভিযোগ | Malda News
দুঃখে লজ্জায় আর থাকতে পারলো না মেয়েটা! শেষে মায়ের জন্য মেয়ের এই পরিণতি, শোকের ছায়া Shantipur-এ
'হিন্দুদের রক্ষা করুক Bangladesh-এর সংখ্যাগুরুরা' চরম বার্তা নওশাদ সিদ্দিকির | Nawsad Siddique
Bangladesh-এ ভারতীয় পতাকার অবমাননা, ক্ষোভ উগরে যা বললেন বিজেপি বিধায়ক Shankar Ghosh