উত্তর প্রদেশের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। উন্নাওয়ের সেই যুবতী পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চাঁক মা এবং এক আত্মীয়ার। একই সঙ্গে গুরুতর আহত হয়েছেন যুবতীর আইনজীবীও। গোটা ঘটনার পিছনে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গরেরই হাত দেখছেন অভিযোগকারিণীর পরিবার।
রবিবার রায়বরেলিতে নিজের আত্মীয়দের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ওই উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের নির্যাতিতা। মাঝ পথে একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তাঁদের গাড়িটির। ওই গাড়িতে নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর মা আশা সিং, পুষ্পা সিং নামে এক আত্মীয়া এবং আইনজীবী মহেন্দ্র সিং ছিলেন। নির্যাতিতার মা এবং আত্মীয়ার মৃত্যু হলেও সঙ্কটজনক অবস্থায় লখনউয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবী।
আরও পড়ুন - ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, প্রতিবেশীকে খুন করে দেহ পুঁতে রেখে থানায় গৃহবধূ
নির্যাতিতার বোন একটি সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলে অভিযোগ করেছেন, গোটা ঘটনাটাই অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গলের ষড়যন্ত্র। দুর্ঘটনা প্রমাণ করে নির্যাতিতাকে মেরে ফেলতেই এই হামলা বলে অভিযোগ।
গত বছর সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ড। সেই সময়ে এই যুবতীই নাবালিকা ছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৭ সালে কুলদীপ সেঙ্গরের বাড়িতে কাজের আবেদন নিয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন বিজেপি বিধায়ক। গত বছর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির বাইরে বিচারের দাবিতে অবস্থানে বসেন নির্যাতিতা। এর পরেই ঘটনাটি নিয়ে হইচই শুরু হয়। বিপাকে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। যদিও তিনি আগাগোড়াই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবার নির্যাতিতার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় ফের ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিল।