সবে নাড়ি কাটা হয়েছে। আর তারপরেই মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হল সদ্যোজাত সন্তানকে। শীতের রাতে ফেলে দেওয়া হল রাস্তার ধারে। এক সঙ্গে তিনটি বস্তায় মুড়ে রাখা অবস্থায় সদ্যোজাত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বস্তা বন্দি অবস্থায় দুধের শিশুটি তারস্বরে চিকিৎকার করে। তাই শুনেই বস্তাগুলি খুলে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচান হয় সদ্যোজাত শিশুকে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে একটি হাসপাতালে। এখন সে কিছুটা সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। চরম অমানবিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লি থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের মিরাটের বাসিন্দারা।
দিন কয়েক হল জাঁকিয়ে শীত পড়তে শুরু করেছে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেখানে রাতভোর বস্তায় মোড়া অবস্থায় পড়েছিল শিশুটি। স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগ শিশুটির বাবা-মা চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। আর সেই কারণে শিশুটিকে তারা শীতের রাতে বস্তায় মুড়ে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয়দের শিশুটার কান্নার আওয়াজ শুনে তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয় পুলিশ। নিয়ে যায় হাসপাতালে। যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন শিশুটির শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের তৎপরতায় সে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে বললে খুব একটা ভুল হবে না।
৫০ বছরের বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনে ইতি, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সমান দক্ষ ছিলেন তরুণ গগৈ ...
শীতকালেও পারদ চড়ছে ডোকলাম সীমান্তে, বাঙ্কার বানিয়ে যুদ্ধের ডঙ্কা বাজাচ্ছে ড্রাগনরা
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানা হয়েছে, শিশুটিকে যখন নিয়ে আসা হয় তখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তার গা থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছিল। উপযুক্ত পরিচর্যার জন্য শিশুটির বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি প্রসবে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে গিয়েছিল। কিন্তু জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই মায়ের দুধ খাওয়া অত্যান্ত জরুরি। শিশুটি সেইটুকু মাতৃস্নেহ পায়নি বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও মহিলা ও কন্যা সন্তান হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে এই দেশে। শুধু উত্তর প্রদেশ নয় গোটা দেশেই মাঝে মাঝে সদ্যোজাত কন্যা সন্তার উদ্ধারের খরব পাওয়া যায়। যা আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে প্রশাসনের।