নোট বাতিলের রেশ এখনো চলছে
এই নিয়ে মানহানির মামলায় জামিন পেলেন রাহুল গান্ধী
আহমেদাবাদ মেট্রো পলিট্যান আদালতে হয়েছে শুনানি
গুজরাটে আরও দু'টি মানহানির মামলা রয়েছে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে
আহমেদাবাদ-এ দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় আপাতত স্বস্তি রাহুল গান্ধীর। তাঁকে জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। আপাতত ১৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। নোট বাতিলের সময় রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপির কালো টাকার ভাণ্ডারকে বিপদমুক্ত করার জন্যই আহমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক বিপুল পরিমাণ বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট জমা করেছে। আহমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের অন্যতম ডিরেক্টর অমিত শাহ। ফলে অতি দ্রুত ঘটনায়ে রাজনীতির রঙ লাগে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ব্যাঙ্কের চ্যেয়ারম্যান অজয় প্যাটেল। সেই মামলার শুনানির জন্য শুক্রবার আহমেদাবাদেও পৌঁছন রাহুল গান্ধী।
শুধু রাহুল গান্ধীই নন , এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা। গুজরাট কংগ্রেসের মুখপাত্র মনিশ দোশি আগেই জানিয়েছিলেন মামলায় হাজিরা দিতে গুজরাট আসবেন রাহুল গান্ধী। শুধু আহমেদাবাদের এই মামলাই নয়, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আরও দুটি মানহানির মামলা রয়েছে গুজরাটের আদালতে। একটি সুরাটে, অপর মামলাটি দায়ের হয়েছে আহমেদাবাদেরই একটি আদালতে। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তার করা কিছু বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এই মামালাগুলি দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে রাহুল গান্ধী জানান তিনি বিজেপি এবং আরএসএস এর কাছে কৃতজ্ঞ। এই মিথ্যে
মামলাগুলির ফলে তিনি আরও বেশি করে তাঁর আদর্শকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন। শুনানি চলাকালিন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিচারককে জানান যে তিনি অপরাধী নন।
আইনি মারপ্যাঁচে রাহুল গান্ধী গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি মামলাতেই জড়িয়েছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ন্যাশনাল হেরল্ড দুর্নীতি মামলা। যেখানে রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী-সহ আরও বেশ কয়েক জন নেতা-র বিরুদ্ধে দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে মামলা চলছে। এতে রাহুল ও সনিয়ার-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় অবশ্য রাহুল ও সনিয়া জামিন পেয়েছেন। চলতি বছরের ৯ এপ্রিল আদালতে হাজিরার সমন পাঠানো হয়েছিল রাহুল ও রণদীপ-কে। আহমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক-এর অজয় প্যাটেলের অভিযোগ, তাদের ব্যাঙ্কের নামে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য পরিবেশন করেছেন কংগ্রেসের দুই নেতা। সমন পাঠানোর আগে অপরাধমূলক কার্যকলাপের ২০২ নম্বর ধারায় রাহুল গান্ধী ও রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালার বিরুদ্ধে আদালতের নজরদারিতে তদন্তও চলেছিল.