প্রেমিকের ব্ল্যাকমেইলের জেরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলেন ২০ বছরের যুবতী। চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে।
'আমার বন্ধুদের সঙ্গে সেক্স কর, নাহল ওদের ৫০,০০০ টাকা দাও।' এরকমই বলেছিল ২০ বছরের যুবতীর 'প্রেমিক'। হুমকি দিয়েছিল, নাহলে তঁর নগ্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আর এরপরই সেই যুবতী মেয়েটি নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টচা করল। ঝাঁপ মারল একটি সেতু থেকে। প্রাণে বেঁচে গেলেও, তাঁর শরীরে নিচের অংশে আর কোনও সাড় নেই। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে।
জানা গিয়েছে মাস চারেক আগে শাদাব নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই যুবতীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। শদাব থাকত মেয়েটির খুড়তুতো ভাইয়ের বাড়ির কাছে। সেখানেই তাদের দেখা হত। অভিযোগ সেই সময়ই শাদাব যুবতীর বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও তোলে। পরে সেগুলি তার তিন বন্ধুকেও পাঠায়। পরে ওই ছবি ও ভিডিও দিয়ে যুবতীকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে সে। এরপরই ওই ভয়ঙ্কর প্রস্তাব এবং হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী মেয়েটি জানিয়েছে, 'শাদাব আমাকে বলেছিল যে আমাকে ওর বন্ধুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে অথবা তাদের ৫০,০০০ টাকা দিতে হবে। অন্যথায়, ওরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সবকিছু দিয়ে দেবে। ওর বন্ধুরা বলেছিল আমার পরিবার আমাকে বাঁচাতে পারবে না'।
গত সপ্তাহে মোরাদাবদের এক ওভারব্রিজের উপর থেকে লাফ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলেন ওই যুবতী। ওভারব্রিজ থেকে নিচে পড়ার সময় পথচলতি কয়েকজন মানুষের নজরে আসে ঘটনাটি। তৎক্ষণাৎ তারা তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসে। চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক ডাক্তার জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি লাফ দিয়েছিলেন। নিচে পড়ে তার উপরের কটিদেশীয় কশেরুকা ভেঙে গিয়েছে। মেরুদণ্ডের নীচের দিকটি সংকুচিত হয়ে গিয়েছে। তার দুই পা সাড়হীন হয়ে গেছে। শীররে নিচের অংশ পুরোটাই অসাড় হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনার পর যুবতীর পরিবার পুলিশে অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতে মোরাদাবাদ পুলিশ, শাদাব এবং তার বন্ধু আরিফ, সাদ্দাম এবং রশিদ - এই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে। তবে সকলেই বর্তমানে পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে