গর্বিত বাবা শহীদ আলি সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, "দেশের প্রথম ফাইটার পাইলট অবনী চতুর্বেদীকে নিজের রোল মডেল হিসাবে বিবেচনা করেছে সানিয়া।”
ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট হতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের সানিয়া মির্জা। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করেছেন হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে। নিজের সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং সংকল্পকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মেধাবী সানিয়া।
হিন্দি মাধ্যমে শিক্ষা সম্পর্কে ভুল ধারণা ভেঙ্গে সানিয়া বলেন, হিন্দি মাধ্যম শিক্ষার্থীরাও যদি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকেন, তাহলে তাঁরা সফলতা অর্জন করতে পারবেন। একটি সামাজিক বিশ্বাসের প্রতি আমরা ভুল ধারণা পোষণ করি যে, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা আঞ্চলিক মাধ্যমে শিক্ষালাভের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করে। সানিয়ার মত, হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষিত বহু ছাত্রছাত্রী সমাজের ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দিয়েছেন।
মির্জাপুর দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া এনডিএ (National Defence Academy) পরীক্ষায় পাস করেছেন। ২৭ ডিসেম্বর পুনের এনডিএ খাদকওয়াসলায় যোগ দেবেন এবং এটি অর্জন করার পর তিনি দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা পাইলট হবেন।
"সানিয়া মির্জা দেশের প্রথম ফাইটার পাইলট অবনী চতুর্বেদীকে তাঁর রোল মডেল হিসাবে বিবেচনা করেন। শুরু থেকেই তিনি তাঁর মতো হতে চেয়েছিলেন। সানিয়া দেশের দ্বিতীয় মেয়ে যিনি একজন ফাইটার পাইলট নির্বাচিত হয়েছেন," সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন সানিয়ার গর্বিত বাবা শহীদ আলি।
এর আগে, সানিয়া তাঁর শিক্ষাজীবনে একটি বড় মাইলফলক অর্জন করেছিলেন। তিনি উত্তর প্রদেশ বোর্ড থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় নিজের জেলার মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছিলেন।
"আমাদের মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামকে গর্বিত করেছে। সে প্রথম ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। সে গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাঁদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে", তাঁর মা তাবাসসুম মির্জা বলেছেন।
এনডিএ পরীক্ষা চারশোটি আসন পূরণের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মধ্যে উনিশটি মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এই উনিশটি আসনের মধ্যে দু’টি আসন ফাইটার পাইলটদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। সেখান থেকেই একটি আসন জয় করে নিয়েছেন উত্তর প্রদেশের সানিয়া।