তাঁর স্বামী কাজ করেন সৌদি আরবে।
এই অবস্থায় এক যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
ওই গৃহবধূ ও যুবক হাতে নাতে ধরা পড়ায় কেটে দেওয়া হল তাদের নাক।
তারা ভিন ধর্মের হওয়ার অযোধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
কারোর মনে পড়ছে ফেলুদার কথা। লালামোহনবাবুকে আরাবল্লীর ডাকাতদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফেলু মিত্তির বলেছিল তারা শাস্তি দেয় নাক কেটে। কিন্তু, ঘটনাস্থলের নাম অযোধ্যা হওয়ায় অনেকেরই মাথায় আসছে রামায়ণের 'সুর্পনখা' পর্বের কথা। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলার কান্দপিপড়া গ্রামে ভিনধর্মের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে নাক কেটে নেওয়া হয়েছে এক গৃহবধু ও এক যুবকের। গুরুতর জখম অবস্থায় দুজনকেই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের এক ২৩ বছর বয়সী ভিনধর্মের যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল গ্রামেরই এক গৃহবধুর। তাঁর স্বামী সৌদি আরবে কাজ করেন। ফলে বাড়িতে থাকেন না। সেই ফাঁকে গ্রামের ওই যুবকের সঙ্গে ওই ৩০ বছর বয়সী মহিলার সম্পর্কে তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই এই সম্পর্ক চললেও এতদিন কেউ টের পাননি। কিন্তু গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ওই যুবককে মহিলার ঘরে অপ্রস্তুত অবস্থায় ধরে ফেলেন ওই গৃহবধুর শ্বশুর এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
হাতে নাতে ধরার পর দু'জনকেই একটি স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে গ্রামবাসীদের ডাকা হয়। তারপর সকলের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের দু'জনের নাক কেটে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসলেও তারা সেই সময় কিছু করতে পারেনি। নাক কাটার পর রক্তাক্ত অবস্থায় দু'জনকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তারাই ওই দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তবে ঘটনার কথা জানাজানি হতে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ওই যুবক ও মহিলা ভিনধর্মমের হওয়ায় এই ঘটনা নিয়ে অযোধ্যায় উত্তেজনা এখন চরমে। নড়ে চড়ে বসেছে পুলিশও। এসএসপি আশীষ তিওয়ারি জানিয়েছেন, ওই মহিলার শ্বশুর এবং এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কান্দপিপড়া গ্রামে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।