গরুর গঙ্গার পাথর ঘষে তা গঙ্গা জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে নাকি গর্ভবতী মহিলার সিজারিয়ান ডেলিভারি করানোর প্রয়োজন পড়বে না। দিন কয়েক আগে লোকসভায় সেন্ট্রাল কাউন্সিল অ্যামেন্ডমেন্ট (হোমিওপ্যাথি) বিলের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্যই করলেন উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সাংসদ অজয় ভাট।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই গরুড় গঙ্গা পাথরের গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকেরই কোনও ধারণা নেই। তাঁর দাবি অনেকেই জানেন না যে, গড়ুর গঙ্গার পাথরের মধ্য়ে থাকা ঔষধি শক্তি সাপের কামড় থেকে থেকেও মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একবার নাকি এক ব্যক্তি তাঁকে বলেছিলেন যে, বাড়ি একটি সাপ ঢুকে পড়ায় তিনি তিনি নাকি নিজের ঘরে ঢুকতে পারছেন না, তখনই নাকি তিনি তাঁকে পরামর্শ দেন যে, গ্রামেরর এক সন্নাসির কাছ থেকে গরুর গঙ্গার পাথর নিয়ে আসতে। পবিত্র সেই পাথরের গুণেই নাকি তাঁর বাড়ি থেকে সাপ পালিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি তাঁর।
তাঁর যে মন্তব্যটি ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে তা হল,যেসব গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় সমস্যা দেখা দেয় তাঁরা গরুড় গঙ্গার পাথর জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে নাকি সেই সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং তাঁদের আর সিজারিয়ান ডেলিভারি করার প্রয়োজন পড়ে না। সেক্ষেত্রে তিনি বলেন, গরুর গঙ্গার পাথর ঘষে নিয়ে গঙ্গাজলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে গর্ভবতী মায়ের যাবতীয় জটিলতা কেটে যাবে এবং তাঁর সিজারিয়ান ডেলিভারি করানোর প্রয়োজনও পড়বে না।