রাজ্য জুড়ে আসছে মৃত্যু ও ধ্বংস্বের ছবি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বৃষ্টি-ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির ওপর আকাশপথে পর্যবেক্ষণ চালান।
মৃত্যুর হাহাকার চারদিকে। পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে উত্তরাখন্ডে (Uttarakhand)। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে ৬৪ জনের মৃত্যুর (Death) খবর মিলেছে। উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে। রাজ্য জুড়ে আসছে মৃত্যু ও ধ্বংস্বের ছবি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বৃষ্টি-ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির ওপর আকাশপথে পর্যবেক্ষণ চালান। তিনি বলেন কেন্দ্র উদ্ধার অভিযানে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এনডিআরএফ এবং অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গোটা এলাকা আকাশ পথে পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন রাজ্য সরকারের হিসেবে সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কুমায়ুন অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির পরিদর্শন করে ফিরে জলিগ্রান্ট বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন কেন্দ্র সবরকম ভাবে রাজ্যকে সাহায্য করবে। এদিকে, সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের চিতকুল ভ্রমণে নিখোঁজ হওয়া ১১ সদস্যের একটি ট্রেকিং টিমের দুই সদস্যকে বৃহস্পতিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। উত্তরকাশী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিক দেবেন্দ্র পাটওয়াল জানান, একটি এসডিআরএফ দল বিমান দিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় ৪৫০০ মিটার উচ্চতায় মৃতদেহগুলি খুঁজে পেয়েছিল।
এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হাতে এসেছে ধ্বংস্বের এক্সক্লুসিভ ফুটেজ। ভীমতাল থেকে ভোওয়ালি যাওয়ার রাস্তায় দেখা গিয়েছে সেই ধসচিত্র। একটি গাড়িকে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। চারপাশের এলাকা বিপর্যস্ত। ভেঙেচুরে গিয়েছে বাড়িঘর। কাদার ধসে চাপা পড়েছে স্থানীয় দোকানগুলি।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) জানিয়েছে, রাজ্যে ১৭ টি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। একজন মুখপাত্র বলেন, এখন পর্যন্ত এনডিআরএফ উদ্ধারকারীরা উধম সিং নগর এবং নৈনিতাল থেকে আটকে পড়া ১৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। তারা উত্তরাখণ্ডের বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে।
এদিকে, উত্তরাখণ্ডে একটানা ভারী বৃষ্টির মধ্যে হলদওয়ানীর গৌলা নদীর (Gaula River) উপর একটি সেতু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া, চম্পাওয়াতের(Champawat) একটি নদীর উপর একটি নির্মাণাধীন সেতুও ভেসে গেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে চারধাম যাত্রা। ১৭ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছিল আবহাওয়া দফতরের তরফে। সেই সতর্কতা মেনেই যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।