কেটে ফেলা হবে জঙ্গল, উত্তরাখণ্ডেও সীমান্তে চিনকে ঠেকাতে নয়া পদক্ষেপ মোদী সরকারের

লাদাখে প্রকৃত সীমান্তরেখায় অব্যাহত চিন-ভারত উত্তেজনা

তারমধ্যেই উত্তরাখণ্ডে চিন সীমান্তে টহলদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ভারত

এর জন্য তিনটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নির্মাণ করা হবে

এর জন্য হস্তান্তরিত করা হচ্ছে অরণ্যের জমি

 

amartya lahiri | Published : Jun 30, 2020 1:38 PM IST / Updated: Jun 30 2020, 07:09 PM IST

লাদাখে প্রকৃত সীমান্তরেখা বরাবর চিনের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা অব্যাহত। চিনের আপত্তির মূলে রয়েছে ওই অঞ্চলে ভারতের একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ। সেই নিয়ে বিবাদের মধ্যেই উত্তরাখণ্ডেও ভারত-চিন সীমান্তের খুবব কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাস্তা নির্মাণের দিকে একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। মঙ্গলবার রাজ্যের বন্যজীবন উপদেষ্টা বোর্ড এই রাস্তা নির্মাণের জন্য গঙ্গোত্রী জাতীয় উদ্যানের মধ্যে ৭৩.৩৬ হেক্টর বনভূমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন করল।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাস্তাগুলি নির্মাণ হয়ে গেলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দূরত্ব নিকটববর্তী সেনা ঘাঁটি থেকে অনেকটাই কমে যাবে। ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ কর্মীদের চলাচল সহজ হবে। বর্তমানে ঘাঁটি থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার টহলদারি পয়েন্টে পৌঁছতে ২৫ কিলোমিটার যেতে হয়। এই তিনটি রাস্তা হল মান্ডি ও সাঙ্গচোলারর মধ্যে ১৭.৬০ কিলোমিটার রাস্তা, সুমলা এবং থাংলার মধ্যে ১১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা এবং ত্রিপদি থেকে রাঙমাচগড়ের মধ্যের ৬.২১ কিলোমিটার দীর্ঘ  সড়ক।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত-এর সভাপতিত্বে বোর্ডের পনেরোতম বৈঠকেই এই প্রস্তাবগুলি অনুমোদিত হয়েছে বলে এদিন জানান উত্তরাখণ্ডের বনবিভগের প্রধান সচিব আনন্দ বর্ধন। জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে এই রাস্তাগুলি নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ বলে সম্মত হন বোর্ডের সদস্যরা। তিনি আরও জানান, এক সপ্তাহের মধ্যেই জাতীয় বন্যপ্রাণী বোর্ডে এই বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে। কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগ বা সিপিডব্লুডি এই রাস্তাগুলি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে।

 

Share this article
click me!