ভয়ঙ্কর ঘটনা রাজস্থানে। স্ত্রীকে শাস্তি দিতে মোটরসাইকেলের পিছনে বেঁধে দীর্ঘ পথ টেনে নিয়ে গেল স্বামী। সাহায্যের প্রবল চিৎকার করেছিল মহিলা। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। গতমাসে রাজস্থানের নাগৌর জেলায় এই ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় কেউ এই ভিডিও শ্যুট করেছিল। কিন্তু কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের ঘটনার মধ্যেই পুরনো সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই এই ভিডিওয়ার সঙ্গে কলকাতার তরুণী চিকিৎসকের কথা তুলে ধরে ভারতীয় মহিলাদের নির্যাতনের কথা বলছেন।
যে ভিডিওটি গতমাসে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলাকে বাইকের পিছনে বেঁধে রেখে স্বামী পাথুরে রাস্তা পার হচ্ছে। মহিলা প্রবল যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। এই অবস্থায় স্বামী একবারও বাইক থামায়নি। কিছুটা পথ আবার পরে বাইক থামিয়ে মহিলার কাছে যায়। তারপর মহিলার শরীরে পা রাখে। তারপর মহিলার ক্ষত দেখে গর্বিত ভঙ্গিতে এগিয়ে যায়। মাত্র ৪০ সেকেন্ডের ভিডিও সেই সময় ভাইরাল হয়েছিল।
ভিডিওর ব্ক্তিটি কে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মহিলার কথাও জানা যায়নি। কিন্তু যেখানে ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে সেখানে তিন জন ছিল। তৃতীয় ব্যক্তি শ্যুট করেছিল। যাইহোক জানা গিয়েছে, মহিলা জয়পুরে তাঁর দিদির বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই রাগেই মহিলাকে 'উচিৎ শিক্ষা দিতে' বাইকে বেঁধে রাস্তায় দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল স্বামী। এই ভিডিওটি স্পষ্ট করে দেয় ভারতীয় মহিলারা আজও কতটা অত্য়াচারিত হয়।
একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এখনও রাজস্থান সহ দেশের একাধিক রাজ্যে বিয়ের জন্য কনে কেনার প্রথা রয়েছে। অর্থাৎ বিয়ে মানে দুটি মানুষের মিলন নয়, সেখানে কেনা বেচার সম্পর্ক এসে যাচ্ছে। এখানেও পুরুষটি তাঁর স্ত্রীর ওপর সেই প্রভুত্ব দেখাচ্ছে।
তবে একমাস আগের ঘটনা সম্প্রতি রিপোর্ট করা হয়েছে নাগৌর থানায়। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কিন্তু এখনও স্ত্রী ও পুরুষকে তারা চিহ্নিত করতে পারেনি বলেও জানিয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।