যে মুসলিম সহপাঠিকে চড় মারতে বলা হয়েছিল, তাকে জড়িয়ে ধরেই ভালবাসা ও ধর্মের উর্দ্ধে উঠে বন্ধুত্বের বার্তা দিল হিন্দু ছাত্র। এই মর্মস্পর্শী ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে।
ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের বিবেক ঘৃণার রাজনীতি শেখায় না। দুই ভিনধর্মী সহপাঠী প্রমাণ করে দিল এই আপ্তবাক্য। দিন কয়েক ধরেই সংবাদ শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনা। যেখানে একজন শিক্ষক তার ছাত্রদের সংখ্যালঘু সহপাঠীকে চড় মারতে নির্দেশ দেন। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় দেশেও।
যে মুসলিম সহপাঠিকে চড় মারতে বলা হয়েছিল, তাকে জড়িয়ে ধরেই ভালবাসা ও ধর্মের উর্দ্ধে উঠে বন্ধুত্বের বার্তা দিল হিন্দু ছাত্র। এই মর্মস্পর্শী ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। স্বভাবতই ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হিন্দু ছাত্রটি জড়িয়ে ধরছে সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রটিকে, যাকে সে শিক্ষকের নির্দেশে চড় মেরেছিল। আনন্দে দুই ছাত্রকে একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। দেখুন সেই মন ভাল করে দেওয়া ভিডিও।
নেটিজেনরা বলছেন এই ভাইরাল ভিডিও প্রমাণ করছে দুই নাবালকের সরল ও নিষ্কলুষ মনের কথা। শিশু মন কোনও ধর্ম বোঝে না, কোনও জাতপাত মানে না। তাঁদের কাছে বন্ধুত্বই শেষ কথা। কোনও ঘৃণা তাদের মনে নেই। আছে সারল্যের আলো, আছে নির্ভেজাল ছেলেবেলা।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা গিয়েছিল একজন মহিলা শিক্ষক সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করছেন এবং তার ছাত্রদেরকে মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় শ্রেণির একজন ছাত্রকে চড় মারতে বলছেন। রীতিমত জোর করে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ছাত্রকে চড় মারতে বাধ্য করেন ওই শিক্ষিকা।
"জিতনে ভি মহামেডান বাচ্চে হ্যায় বলে বক্তব্য রাখতে শোনা যাচ্ছে ওই শিক্ষিকাকে। তিনি অন্য ছাত্রদের আরও জোরে মারতে উত্সাহিত করছেন।
কেন মুসলিম ছাত্রদের জোরে মারা হচ্ছে না, সেটার জন্য বকতে দেখা যায় হিন্দু ছাত্রদের। এই ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।