Pakistani Spy: ব্লগার জ্যোতি মালহোত্রা-সহ ভারতের হেফাজতে আরও ৯ পাকিস্তানি 'গুপ্তচর'! তারা কারা জানেন?

পাকিস্তানের সাথে তথ্য শেয়ার করার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী শাহজাদ পর্যন্ত, বিভিন্ন পেশার মানুষ জড়িত এই ঘটনায়।

জ্যোতি মালহোত্রা

ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা, যিনি 'ট্র্যাভেল উইথ জো' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান, তিনি হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতীয় সামরিক তথ্য শেয়ার করার জন্য তাকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 

পুলিশ জানিয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী এই তরুণী, পাকিস্তান হাই কমিশনের একজন কর্মকর্তার সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং কমপক্ষে দুবার পাকিস্তান সফর করেছিলেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দারা তাকে ভারতে তাদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল।

ইয়ামিন মোহাম্মদ

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেপ্তারের পর, হিসার পুলিশ সতর্ক করে দিয়েছিল যে তরুণ প্রভাবশালীরা শত্রু দেশগুলির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। সহজ অর্থের জন্য, এই প্রভাবশালীরা ভুল পথে চলে, হিসারের এসপি শশাঙ্ক কুমার সাওয়ান সাংবাদিকদের বলেছিলেন।

দেবেন্দ্র সিং ধিলন

২৫ বছর বয়সী দেবেন্দ্র সিং ধিলন পাতিয়ালার খালসা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র। ১২ মে, ফেসবুকে পিস্তল এবং বন্দুকের ছবি আপলোড করার জন্য তাকে হরিয়ানার কৈথালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায় যে তিনি গত নভেম্বরে পাকিস্তান সফর করেছিলেন এবং ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করেছিলেন, যার মধ্যে পাতিয়ালা সামরিক সেনানিবাসের ছবিও ছিল।

গাজালা

এছাড়াও, একই অভিযোগে পাঞ্জাব থেকে গাজালা এবং ইয়ামিন মোহাম্মদ নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মোহাম্মদ মুর্তজা আলী

জলন্ধরে গুজরাট পুলিশের অভিযানের সময় মোহাম্মদ মুর্তজা আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যে সে পাকিস্তানের আইএসআই-এর জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সে নিজেই তৈরি একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এটি করেছিল। তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন এবং তিনটি সিম কার্ড পাওয়া গেছে।

নওমান ইলাহি

হরিয়ানায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ২৪ বছর বয়সী নওমান ইলাহিকে কয়েকদিন আগে পানিপথ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তিনি পাকিস্তানে একজন আইএসআই হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা তার শ্যালকের অ্যাকাউন্টে পাকিস্তান থেকে টাকা পেতেন ইসলামাবাদে তথ্য সরবরাহের জন্য।

শাহজাদ ওহাব

উত্তর প্রদেশের রামপুরের ব্যবসায়ী শাহজাদকে রবিবার মোরাদাবাদে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত সংবেদনশীল তথ্য তার হ্যান্ডলারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন, এসটিএফ জানিয়েছে। তিনি একাধিকবার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলেন এবং প্রসাধনী, পোশাক এবং মশলা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

আরমান

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৬ মে হরিয়ানার নুহ থেকে ২৩ বছর বয়সী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় তাকে পাকিস্তানে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতে দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের দাবির সমর্থনে তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে এবং সন্দেহভাজনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।