বোম্বে হাইকোর্ট আগামী ৮ জুন পর্যন্ত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে সমীর ওয়াংখেড়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেকেই হাতিয়ার করেছে
আরিয়ান খান মামলায় প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের রক্ষাকবচ আরও বাড়াল বোম্বে হাইকোর্ট। আগামী ৮ জুন পর্যন্ত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। অন্যদিকে সিবিআই জানিয়েছে সমীর ওয়াংখেড়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেকেই হাতিয়ার করেছে। শাহরুখ খান তাঁকে সততার শংসাপত্র দিয়েছে - সেটাও দেখানোর চেষ্টা করেছে।
এদিন বোম্বে হাইকোর্টে সমীর ওয়াংখেড়ের দায়ের করা মামলার শুনানি হচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই ক্যাডিলিয়া ক্রুজ ড্রাগ বাস্ট মামলায় তাঁক ছেলে আরিয়ান খানকে না জড়িয়ে দেওয়ার বিনিময় ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার বিচারপতি অজয় আহুজা ও এমএম সাথের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে এই মমামলায় শুনানি হয়। বেঞ্চ আগামী ৮ জুন পর্যন্ত অন্তবর্তী সুরক্ষারবচ দিয়েছে।
গত শুক্রবার আদালত সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ২২ মে পর্যন্ত সমীর ওয়াংখেড়েকে রক্ষা কবচ দিয়েছে। আদালত বলেছিল তাঁকে জোরজবরদস্তি করা যাবে না। যাইহোক এদিন ওয়াংখেড়ে এদিন তাঁর আবেদনে শাহরুখ খানের সঙ্গে ফোনে যে কথাবার্তা হয়েছে তাই আদালতে তুলে ধরেছে। পাশাপাশি ওয়াংখেড়ের দাবি সুপারস্টারের তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। পাশাপাশি শাাহরুখ যে তাঁর ছেলে আরিয়ান খানের প্রতি তাঁকে নির্মম হতে নিষেধ করেছিলেন তাও জানিয়েছেন আদালতে। ওয়াংখেড়ে আরও জানিয়েছে, অভিনেতা কেবল তাঁর সততার প্রশংসাই করেননি, তাঁর ছেলেকে নিয়ে যে রাজনীতি হয়েছিল তা নিয়ে যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশও করেছিলেন।
চ্যাটের উল্লেখ করে ওয়াংখেড়ে তাঁর আবেদনে দাবি করেছেন যে শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর যে কথাবর্তা হয়েছে তার সুর সম্পূর্ণ ভিন্ন হত যদি তিনি অভিনেতার ছেলের মুক্তির জন্য তাঁর থেকে টাকা দাবি করতেন। সোমবার শুনানির সময় সিবিআই-এর আইনজীবী কুলদীপ পাটিল বলেন, এগুলিতে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ সেই সময় সমীর ওয়াংখেড়ের সেই সময় এনসিবি কর্তা ছিলেন, আর তাঁর হেফাজতেই ছিলেন অভিনেতা পুত্র। সেই কারণেই শাহরুখের সুর নমর ছিল। পাশাপাশি তিনি আদালতে রক্ষাকবচের বিরোধিতাও করেন তিনি। তিনি বলেন তদন্তের স্বার্থে সিবিআই যে কোনও পদক্ষেপ নিতে যাতে পারে তার স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। তিনি সিবিআইএর প্রতিক্রিয়া ফাইল করার জন্য সময়ও চেয়েছিলেন।
অন্যদিকে আবাদ পোন্ডা ওয়াংখেড়ের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন এটি গুরুতর মামলা। তিনি বলেন সমীর ওয়াংখেড়ে সিস্টেম পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। ড্রাগ মামলাতেই আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, তৎকালীন এনসিবি কর্তা জ্ঞানেশ্বর সিংহ তদন্তের প্রতিটি ক্ষেত্র সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে সিবিআই-এর এফআইআর ত্রুটিপূর্ণ বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন মামলাটি অবৈধ। আইনের দৃষ্টিতে খারাপ। যার সৎ অফিসারের রেকর্ড রয়েছে। তিনি অনেক প্রভাবশালীদের বুরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন সমীরের আইনজীবী।
আরও পড়ুন-
রাজ্যসভার সদস্যদের খচর হয় কোটি কোটি টাকা, ভ্রমণের জন্য খরচের অঙ্কে মাথায় হাত দেবন আপনিও
২০০০ টাকার নোটের পরিবর্তে বাজারে কি ফিরবে ১ হাজার টাকা? কী জানালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস