রাজ্যসভার সদস্যদের জন্য বছরে একশো কোটি টাকা খরচ হয়। দুই বছরে খরচের অঙ্ক ২০০ কোটি টাকা। আরটিআইএর তথ্য প্রকাশ্যে খরচ।
শুধুমাত্র রাজ্যেসভার সাংসদদের জন্যই বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। তথ্যের অধিকার বা আরটিআই (RTI) অনুসারে গত দুই বছরে রাজ্যেসভার সাংসদদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও একটি খুলে বললে, রাজ্যসভার সাংসদদের ভ্রমণের জন্য গত দুই বছর ৬৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০২১-২২ করোনাভাইরাস মহামারির পরে রাজ্যসভার সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত ৯৭ কোটি টাকারও বেশি খচর হয়েছে।
RTI -তে বলা হয়েছে সাংসদদের শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণের জন্য ২৮.৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য রাজকোষাগার থেকে ব্যায় হয়েছে ১.২৮ কোটি টাকা। বেতন দিতে ব্যায় হয়েছে ৫৭.৬ কোটি টাকা। সাংসদ ও তাঁদের পরিবারের চিকিৎসার বিল মেটাতে খরচ করা হয়েছে ১৭ লক্ষ টাকা। সংসদদের অফিসের খচর মেটাতে ব্যায় করতে হয়েছে ৭.৫ কোটি টাকা। সাংসদদের তথ্য প্রযুক্তির জন্য রাজকোষাগার থেকে দিতে হয়েছে ১.২ কোটি টাকা।
মধ্যপ্রদেশের চন্দ্র শেখর গৌড়ের তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে দায়ের করা একটি প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যসভার সচিবালয় জানিয়েছে। সেখানে আরও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২১ -২৩ সালের মোট ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যারমধ্যে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে অভ্যন্তরীন ও বিদেশ ভ্রমণের জন্য। রাজ্যসভার সচিবালয় আরও জানিয়েছে, ২০২২-২৩ সালে রাজ্যসভার সদস্যদের বেতন দেওয়ার জন্য ৫৯ কোটি ৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। যেখানে ৩০.৯ কোটি টাকা বিদেশ ও দেশে ভ্রমণের জন্য খরচ করা হয়েছে ২.৬ কোটি টাকা।
অন্যান্য খরচের জন্য রয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ। যেখানে খরচ হয়েছে ৬৫ লক্ষ টাকা। আর অফিসের জন্য খরচ হয়েছে ৭ কোটি টাকা। আইটি পরিবেষার জন্য ১.৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
২০২১ সালের রেকর্ড অনুযায়ী শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভার সদস্যদের উৎপাদনশীলতার হার ছিল ৪৩ , বর্ষা অধিবেশনে ২৯ ও বাজেট অধিকাবেশে ৯০ শতাংশ। পরের বছর অর্থাৎ শীতকালীন অধিবেশনে উৎপাদনশীলতার হার ছিল ৯৪ শতাংশ, বর্ষা অধিবেশনে সময় ৪২ শতাংশ ও বাজেট অধিবেশনের সময় ৯০ শতাংশ। এই বছর এখনএ পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনে কাজ হয়েছে সবথেকে কম -২৪ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ
২০০০ টাকার নোট বাতিলের জন্য তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই, আশ্বস্ত করলেন আরবিআই প্রধান
২০০০ টাকার নোটের পরিবর্তে বাজারে কি ফিরবে ১ হাজার টাকা? কী জানালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস