সাবধানের মার নেই বলে একটা কথা আছে। আর সেই কথাটা প্রায় সত্যি করে তুলল দিল্লির এক বাসিন্দা। রাতের অন্ধকারে পিপিই কিট পরে হানা দিল সোনার দোকানে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে মনের সুখে লুঠপাট চালাল। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায় ২৫ কিলোগ্রাম সোনা লুঠ করেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে লুঠের সম্পত্তি। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। আর বৃহস্পতিবারের মধ্যেই চুরির কিনারা করা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে চুরির ঘটনার কিনারা করতে পুলিশকে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে সোনার দোকানের লাগানো থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা।
দিল্লির কালকাজি এলাকার সোনার দোকান। সিসিটিভির ঘড়ি অনুযাযী রাতে সাড়ে ৯টা নাগাদা চোর ঢোক। পুলিশ জানিয়েছে, একটি দড়়ির সাহায্যে পাঁচিল টপকায় চোর। তারপর গ্যাসকাটার দিয়ে দোকানের দেওয়ালের একটি অংশ ভেঙে ফেলে সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে। তারপর স্টোর রুপ থেকে শুরু করে শোরুম- সর্বত্র অবাদে ঘুরে বেড়িয়ে লুঠপাট চালায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি এই সোনার দোকানের কর্মী। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ কিলো সোনার গয়না লুঠ করে।
৬৫ টাকায় আর কি পাওয়া যাবে না চিকেন বিরিয়ানি, তেমনই ঘোষণা ওম বিড়লার
২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বাংলা ও অসম সফর, পরাক্রম দিবসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠান .
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একাই দোকানে ঢুকেছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীদের অনুমান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কোনও ব্যক্তির যোগসাজেস ছিল না। একাই সে চুরি করতে এসেছিল। পুলিশ জানিয়েছে দোকানটিতে সর্বক্ষণের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকে। দোকানটি যখন বন্ধ থাকে তখনও পাহারা দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও অভিযুক্ত দোকানে প্রবেশ করে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়ে চুরি করে চলে যায়। তা কী করে প্রহরীরা টের পেল না। কারণ সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত সিঁড়ি দিয়ে নিচের তলায় নামছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে এদিন সকালে সোনার দোকানটি খোলার পরই কর্তারা বুঝতে পারেন দোকানে লুঠপাট চালান হয়েছে। দোকানের ম্যানেজার পুলিশে খবর দেয়। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই চুরির কিনারা করে পুলিশ। তরে চোর কেন পিপিই কিট পরে এসেছিল তা এখনও জানায়নি পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান সিসিটিভি থেকে নিজেকে আড়াল করেই পিপিই-র ভরসা করেছিল।