কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেছেন, আইনসভা, নির্বাহী সংস্থা আর বিচারবিভাগ- এটাই আমাদের স্তম্ভ। তিনি আরও বলেন, 'আমি মনে করি নির্বাহী, আইনসভা তাদের দায়িত্বে আবদ্ধ। এবং বিচার বিভাগকে তাদের উন্নতি সাধন করে।'
ভোটমুখী গুজরাটে দাঁড়ি দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বড় বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগকে আবদ্ধ করার উপায় না থাকলে 'জুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিজম' এর মত শব্দ ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ বিচার ব্যবস্থার অতিসক্রিয়তার কথা বলছেন। তিনি বলেন অনেক বিচারক এমন পর্যবেক্ষণ পাশ করেন যা কখনই রায়ের অংশ হতে পারে না। তিনি আরও বলেছেন, বিচারকরা সবসময় ব্যবহারিক অসুবিধে বা আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা জানেন না।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুজরাটের আমেদাবাদে একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন পাঞ্চজন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। সেখানেই তিনি দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি নাম না করে বেশ কিছু বিচারককেও নিশানা করেন তিনি।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেছেন, আইনসভা, নির্বাহী সংস্থা আর বিচারবিভাগ- এটাই আমাদের স্তম্ভ। তিনি আরও বলেন, 'আমি মনে করি নির্বাহী, আইনসভা তাদের দায়িত্বে আবদ্ধ। এবং বিচার বিভাগকে তাদের উন্নতি সাধন করে।'তারপরই তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থা যখন বিপথে চলে যায় তখন তাদের উন্নতি করার কোনও উপায় থাকে না।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য দেশের বিচার ব্যবস্থাকে টার্গেট করেছে বলেও মনে করছেন দেশের একাংশ। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মামলার রায় নিয়ে কেন্দ্র ও বিচারব্যবস্থার মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছে। তাতেই কিরন রিজিজুর এই মন্তব্য বলেও মনে করছেন অনেকে।
অন্যদিকে আগামী ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন। এই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রধানবিচারপতি ইউইউ ললিত। তাতে সিলমহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।