পঞ্জাবে আরও শক্তি বাড়াল আপ, সমর্থন করার সিদ্ধান্ত অকালি দলের

দলে আত্মসমীক্ষার কাজ চালানো হবে বলে জানিয়েছেন সুখবীর সিং বাদল। কেন প্রধান বিরোধী দলের জায়গা থেকে নেমে তৃতীয় স্থানে চলে গেল দল, তার কারণ খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Parna Sengupta | Published : Mar 11, 2022 11:13 AM IST

২৪ ঘন্টা আগে গোটা পঞ্জাবই প্রায় পকেটে পুরেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একদিন কাটতে না কাটতেই আরও শক্তি বাড়াল আম আদমি পার্টি। জনগণের রায় মাথা পেতে নিয়ে আপকে সমর্থন (support AAP) করার সিদ্ধান্ত জানাল শিরোমণি অকালি দল (Shiromani Akali Dal)। শুক্রবার অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল (president Sukhbir Singh Badal) বলেন তাঁর দলে জনগণের রায় মাথা পেতে নিচ্ছে। এরই সঙ্গে দুর্দান্ত জয়ের জন্য আপকে অভিনন্দন জানান তিনি। আপকে অকালি দল সমর্থন করবে বলেও জানান এসএডি প্রধান। 

এরই সঙ্গে দলে আত্মসমীক্ষার কাজ চালানো হবে বলে জানিয়েছেন সুখবীর সিং বাদল। কেন প্রধান বিরোধী দলের জায়গা থেকে নেমে তৃতীয় স্থানে চলে গেল দল, তার কারণ খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার জনগণের রায় প্রকাশিত হওয়ার পরেই সুখবীর সিং বাদল টুইট করেন "We whole-heartedly and with total humility accept the mandate given by Punjabis. I am grateful to lakhs of Punjabis who placed their trust in us and to SAD-BSP workers for their selfless toil. We will continue to serve them with humility in the role they have assigned to us." 

উল্লেখযোগ্যভাবে, এসএডি বিএসপির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, কিন্তু উভয় দলই পরাজিত হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন AAP পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ৯২টি আসন নিয়ে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। আপ এদিন যে সংখ্যক আসন জিতেছে তা চার দশকেরও বেশি সময়ে রাজ্যের যেকোনো দলের জেতা সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন। পিছনে ফেলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বা এসএডি-বিএসপি জোটকে। মোট ভোটের ৪২ শতাংশই ঝুলিতে পুরেছে আপ। ২০১৭ সালের তুলনায় পঞ্জাবে আপের ভোট বেড়েছে ১৮ শতাংশের মতো।

মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি, প্রকাশ সিং বাদল, সুখবীর সিং বাদল, অমরিন্দর সিং এবং নভজ্যোত সিং সিধু সহ বেশ কয়েকজন নেতা AAP প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। উল্লেখ্য, পঞ্জাবে রাজনীতি সবসময় কংগ্রেস এবং এসএডিকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে অসন্তোষের অনুভূতি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে লোকেরা বিশ্বাস করে যে নেতারা রাষ্ট্রে কোনও পরিবর্তন আনেননি। কংগ্রেস এবং আকালিদের বিরুদ্ধে হাতের মুঠোয় থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং অমরিন্দর সিং সরকার রাজ্যের বাদল এবং ড্রাগ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে খুব কমই পদক্ষেপ করেছে। এবার পাঞ্জাব, বিশেষ করে মালওয়া অঞ্চলের মানুষ রাজ্যে পরিবর্তন চেয়েছেন। ভোটাররা বিশ্বাস করেছিলেন যে দুটি বড় দল ৭০বছর ধরে রাজ্য শাসন করছে, কিন্তু তারা ফলাফল দেয়নি। তাই, তারা মনে করেছে অন্য দলকে সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।

Read more Articles on
Share this article
click me!