ইজরায়েলি সংস্থা পেগাসাস স্পাইওয়ার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে ভারতের মোট ১২১ জনের ওপর নজরদারি চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে ওই ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল সংস্থাটি জানিয়েছে। ভারতীয় সাংবাদিক, কূটনীতিক, মানবাধিকার কর্মীর হোয়াটস অ্যাপে আড়ি পাতার কথা হোয়াটসঅ্যাপ স্বীকার করার পরেই বৃহস্পতিবার সংস্থাটির কাছ থেকে ঘটনার ব্যাখ্যা চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
কোনও ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করার পরেই ইজরায়েলি সংস্থা পেগাসাস তার ওপর নজরদারি করতে পারে। অনেক সময় সংস্থার তরফে করা কোনও ফোন ব্যবহারকারীর মোবাইলে ঢুকলে তাকে হ্যাক করতে সক্ষম হয় স্পাইওয়ার ব্যবহার করে বলে জানা গিয়েছে। একবার হ্যাক করতে সম্ভব হলে মোবাইলের যাবতীয় তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যাবে। এমনকী মোবাইল নিয়ে ব্যবহারকারী কোথায় কোথায় যাচ্ছে তাও জানতে পেরে যাবে ব্যবহারকারীরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ভারতের বেশিরভাগ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। এই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিরাপত্তা কোথায় সেই বিষয়ে সংস্থার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তবে বিতর্ককে আরও খানিকটা উসকে দিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে যে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে, তা আগেই ভারত সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। নজরদারি প্রতিরোধ করার বিষয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের আগে থেকে হোয়াটসঅ্যাপে এই নজরদারির কথা জানায়নি। তবে ভারত সরকারের অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে ফেসবুক জানায়, মে মাসেই ভারত সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কহোয়াটসঅ্যাপের মূল কোম্পানি ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমাদের সব সময় ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপন রাখার বিষয় প্রধান্য পায়। তাই নজরদারির খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই এই বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। যে সব দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি চলেছিল, সেই সমস্ত দেশের প্রশাসনকেও আমরা জানিয়েছিলাম।