স্বাধীনতার ইতিহাসে তেমনভাবে এখনও গুরুত্বপায় না উপজাতি-জনজাতির আত্মত্যাগ। মানগড় ধামকে জাতীয় স্মৃতি সৌধ হিসেবে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করলেন গোবিন্দ গুরুকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাট ও রাজস্থানের সীমানাবর্তী এলাকায় অবস্থিত বাঁশওয়ারা জেলার মানগড় ধামপে জাতীয় স্মৃতিসৌধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। গত মঙ্গলবার তিনি মানগড় ধামে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ইতিহাস রয়েছে এই এলাকায়।
মানগড়ে গণহত্যা
সালটা ১৯৩১। ব্রিটিশ সেনা বাহিনী এই এলাকায় প্রায় ১৫০০ জন আদিবাসীকে হত্যা করেছিল। গণহত্যা করা হয়েছে। এই এলাকায় এখনও প্রচুর উপতাজির মানুষ বাস করেন। মৃতদের সঙ্গে এখনও তাদের অনেকেই রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তাঁদেরই সম্মান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নেতৃত্বে গোবিন্দ গুরু
মানগড়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিবেন গোবিন্দ গুরু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আদিবাসী নেতাও শ্রাদ্ধা জানান। তিনি গোবিন্দ গুরুকে স্মরণ করেন ভিল ও অন্যান্য আদিবাদী মানুষদের একটি সমাবেশে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ও শিবরাজ চৌহান।
মোদী তাঁর ভাষণেই মানগড় আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন। বলেন, তিনি এই পাহাড়ের বাসিন্দাদের মৃত্যু জালিওয়ানওয়ালাবাগের গণহত্যার থেকে কম কিছু নয়। কিন্তু স্বাধীনতাক হিসেবে মঙ্গধ হত্যাকাণ্ডের তেমন উল্লেখ নেই বলে তিনি পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেন। তিনি বলেন এই এলাকায় ১৫০০ জন আদিবাসী ভাই ও বোনকে হত্যা করা হয়েছে। যাদের স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছিলেন।
ইতিহাসের পাায় মানগড়
এই অনুষ্ঠানেয়ই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন , গোবিন্দ গুরুকে কখনই আর ইতিহাস থেকে মোছা যাবে না। কারণ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এজাতীয় মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি স্বাধীনতার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানগড় পাহাড়ে ১৫০৭টি বৃক্ষরোপন করেছিলেন। সেই সময় ৬৩তম বন মহোৎসবের সূচনা করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এবার থেকে গুরুত্বপাবে
আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের যাদুঘর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রহশালা। গোটা দেশে এজাতীয় ১০টি যাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাঁচিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে উদ্ধোধন করা হয়েছে বিরসামুণ্ডা যাদুঘর। আগামী দিনে মানগড়ের ইতিহাসও সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও জানিয়েছেন স্বাধীনতা আন্দোলনের হারিয়ে যাওয়া নায়ক বা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে গবেষণা, তাঁদের ফিরিয়ে আনার কাজে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেই কারণেই বিরসা মণ্ডার জন্মদিনকে জনজাতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা আজই? দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক ডাকলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের সময়ও মাচ্ছু নদীতে থামেনি উদ্ধারকার, নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বললেন তিনি