ইন্দোরের রাজার পর খুন দিল্লির রবীন্দ্রকে, গ্রেফতার স্ত্রী ও তার প্রেমিক

Published : Jun 21, 2025, 03:18 PM IST
Jharkhand murder cas

সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ দিল্লির রাজকোরি এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র কুমারের খুনের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী রীনা সিন্ধু এবং প্রেমিক পরিতোষ গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, সম্পত্তি, প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও দাম্পত্য কলহ খুনের কারণ।

মেঘালয়ের হানিমুন মার্ডারের ঘটনা সকলকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। এই হাড়হিম করা খুনের ঘটনা নজর কেড়েছিল সকলের। এবার ফের এক শিউরে ওঠার মতো ঘটনা এল প্রকাশ্যে। এমন ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। ইন্দোরের ট্র্যান্সপোর্ট ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনা সকলের মনে আছে। তার মধ্যেই ফের এমন ঘটনা এল প্রকাশ্যে।

দক্ষিণ দিল্লির রাজকোরি এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র কুমার। জুনের গোড়া থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ উত্তরাখণ্ডের কোতদ্বার এলাকার এক গিরিখাদ থেকে গত ৫ জুন একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ওই দেহ রবীন্দ্র কুমারের। তাঁর স্ত্রী রীনা সিন্ধু তার প্রেমিক পরিতোষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রবীন্দ্রকে খুন করেছে। পুলিশের সন্দেহ, খুনের কারণ হল সম্পত্তি, প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও দাম্পত্য কলহ।

জানা গিয়েছে, রবীন্দ্র থেকে ২০ বছরের ছোট রীনা। সম্প্রতি পরিতোষ নামে এক যুবকের সঙ্গে রীনার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সেই কারণেই প্রেমিক ও রীনা ষড়যন্ত্র করে রবীন্দ্রকে খুন করে বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার ফিজিওথেরাপি সেন্টার আছে। কয়েক বছর আগে পরিতোষ ওই সেন্টারের চিকিৎসা করাতে আসে। সেখানেই রীনার সঙ্গে তার পরিচয় হয় ও ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।

পুলিশি তদন্তে জানা যায়, রবীন্দ্র তাঁর স্থাবর সম্পত্তি থেকে মাসে এক লক্ষ টাকা ভাড়া পেতেন। তবে, চেক বাউন্সের এক মামলায় রবীন্দ্রকে ছয় মাস জেল খাটতে হয়। পরে তিনি ঠিক করেন, বাজারে তাঁর যে ১৮ লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে তা তিনি তাঁর একটা ছোট সম্পত্তি বিক্রি করে মিটিয়ে দেবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর খানের ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে রবীন্দ্রর সঙ্গে তার স্ত্রীর অশান্তি ছিল। রীনা কিছুতেই রবীন্দ্রকে তার সম্পত্তি বিক্রি করতে দিচ্ছিল না। সে সম্পত্তি বিক্রি করে রবীন্দ্র তার দেনা মেটাতে চেয়েছিল। তারপরই প্রেমিক ও তাঁর স্ত্রী মিলে তার সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করে। পুলিশের অভিযোগ, সেই কারণেই রবীন্দ্রকে খুনের ষড়যন্ত্র করে দুজনে মিলে। তদন্তে জানা যায়, পরিকল্পনামাফিক গত ৩১ মে রীনা তার স্বামী রবীন্দ্রকে পরিতোষের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। পরিতোষের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের নাগিনা এলাকায়। ওই দিন সেখানে পার্টির আয়োজন করেছিল পরিতোষ।

তদন্তে জানা যায়, পার্টিতে রবীন্দ্রকে পেট ভর্তি মদ খাইয়ে প্রথমে বেহুঁশ করে রীনা ও পরিতোষ। পরে রবীন্দ্রর বুকে ও গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করা হয়। তারপরে একটি এসইউভি-তে মৃতদেহ তুলে দেয়। প্রথমে রীনা ও পরিতোষ উত্তরাখণ্ডের রামনগর যায়। সেখান থেকে যয়া কোতদ্বার। কোতদ্বারের ডুগাড্ডার কাছে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার ধারে গিরিখাদে ফেলে দেয়। পরের দিন নয়ডার কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই এসইউভি।

পুলিশ জানান, দেহ উদ্ধারের পর তা আপেক্ষিক ভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হেছিল বলে মনে করা। কিন্তু, ময়াতদন্তের পর প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায় তা দুর্ঘটনা নয় খুন। তারপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

পুতিনকে গার্ড অফ অনার: দেখে নিন রাষ্ট্রপতি ভবনের ৫টি বিশেষ মুহূর্তের ছবি
'বাধাহীন ভাবেই ভারতকে তেল বিক্রি করবে রাশিয়া', দিল্লি সফরে এসে মোদীকে সাফ বার্তা পুতিনের