রাতারাতি মহারাষ্ট্রের মসনদে বসেছিলেন তিনি। কিন্ত দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার ৭৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। স্বামী ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই টুইট করে ফিরে আসার বার্তা দিলেন মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী অমৃতা ফড়নবিশ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, মরশুম বদলাতে দাও। বসন্তকে আসতে দাও। আমি নতুন সৌরভ নিয়ে ফিরব।' রাজ্যের মানুষকে বিদায়ী বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
বিধানসভা ভোটের পর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে টানাপোড়েন কম হয়নি। বিজেপি ও শিবসেনার মধ্য়ে দর কষাকষির মাঝে রাজ্যে জারি হয়ে যায় রাষ্ট্রপতি শাসন। শেষপর্যন্ত এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যায় বিজেপির পুরনো জোটসঙ্গী শিবসেনা। কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে মহারাষ্ট্র সরকার গঠনের চেষ্টা করেন উদ্ধব ঠাকরে। তিন দলের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়। বস্তুত, গত শুক্রবার মুম্বইয়ে বৈঠকে পর মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিবসেনা সুপ্রিমোর নামও ঘোষণা করে দেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়া। আর এরপরই নাটকীয় পট পরিবর্তন ঘটে যায় মারাঠা রাজনীতিতে।
শনিবার এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিধায়ক সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ে ফেলে বিজেপি। সাতসকালে রাজভবনে দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। উপ মুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পাওয়ার। শপথ নেওয়ার তিনদিন পর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। কারণ, উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ প্রত্যাঘাত করেন অজিত পাওয়ার। এমনকী, বিধানসভায় আস্থা ভোটে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকারকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেন তিনি।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে স্বামী ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে টুইট ফিরে আসার বার্তা দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশের স্ত্রী অমৃতা। টুইটারে তিনি এও লিখেছেন, পাঁচ বছরের জন্য সরকার চালানোর অধিকার দেওয়ার জন্য় মহারাষ্ট্রের মানুষকে ধন্যবাদ। আপনারা আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা আমি চিরদিন মনে রাখব। আপনাদের সেবা করার যত সম্ভব চেষ্টা করেছি আমি।'
এদিকে মহারাষ্ট্রে এনসিপি-কংগ্রেস-এনসিপি-এর জোট সরকারের প্রক্রিয়া চলছে জোরকদমে। বুধবার শপথ নিলেন বিধায়করা। বৃহস্পতিবার মারাঠা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। শপথ গ্রহ অনুষ্ঠান হবে শিবাজি পার্কে।