একটা ধারণা প্রচলিত আছে ধর্ষণ বিরোধী আইন কঠোর হলে কমবে ধর্ষণ, ভয় পাবেন ধর্ষকরা। হায়দারাবাদে এনরকাউন্টারের পরও অনেকেই বলেছিলেন ওই ঘটনা ধর্ষকদের মনে ভয় ধরাবে। কিন্তু এনকাউন্টার হোক বা ফাঁসি, ভারতে ধর্ষকরা যে কি পরিমাণ বোপরোয়া হয়ে উঠেছে তার প্রমাণ মিলল পাটনায়। গত সোমবার এক শপিং মলের পার্কিং লট থেকে এক মহিলাকে অপহরণ করে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত চার দুষ্কৃতীর মধ্যে ইতিমধ্য়েই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ব্যস্ত বোরিং রোড মোড়ের জিভি মলের এক খাবারের দোকান থেকে বের হওয়ার সময় তাঁকে বন্দুক দেখিয়ে চারজন অপহরণ করেছিল। তাঁকে মলের পার্কিং লটে দাঁড়ানো একটি গাড়িতে উঠতে বাধ্য করা হয়। তারপর ওই চারজন তাঁকে পাটলিপুত্র কলোনির পিঅ্যান্ডএম মলের কাছে এক ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে চারজনের একজন তাঁকে ধর্ষণ করে। গোটা সময় বাকি তিনজন তাঁর দিকে পিস্তল নিশানা করে ছিল বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
শুদু তাই নয়, ওই মহিলার অভিযোগ ওই চার দুষ্কতী ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে রাখে। পুলিশে জানালে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও ওই মহিলা তাদের খপ্পর থেকে পালিয়ে গিয়ে তাঁর রুমমেট ও ভাইকে ফোনে পুরো ঘটনা জানান। তাঁর ভাইই পুলিশে খবর দেন। মূল অভিযুক্ত ওই মহিলার পূর্ব পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন এর আগে একবার সে তাঁর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোরাজুরি করেছিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে পাটনা সিটি পুলিশ সুপার, বিনয় তিওয়ারি জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। চার অভিযুক্তকেই সনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে এই ক্ষেত্রে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। তাই মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতিমধ্য়েই এদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।