নির্বাচন কমিশন দিল্লির ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের পরই অনলাইনে দারুণ কৌশলী প্রচার শুরু করল আম আদমি পার্টি বা আপ। ২০১৫ সালে নির্বাচনের সময় কেজরিওয়ালের ভরসা ছিল 'কমনম্যান ইমেজ'। মাফলার ত্যাগ করে পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর সেই ইমেজ দিয়ে আর চিড়ে ভিজবে না বুঝেই অভিনব পন্থা নিল তাঁরা। একেবারে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দ্বিতীয় নির্বাচনের কৌশল ধার নিল তারা।
দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে বারাক ওবামা তাঁর প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তাঁর প্রতিপক্ষ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম কি? মঞ্চে একটি ফাঁকা চেয়ার বসিয়ে রিপাবলিকানরা সভা করেছিলেন। আর তারপরদিনই ওবামা টুইট করে বলেছিলেন চেয়ারটা তিনি নিয়ে নিয়েছেন। সেই প্রচার থেকে আর সরানো যায়নি ওবামা-কে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় এই কৌশলকে বলা হয় পারফরমেটিভ পাওয়ার।
এবার কেজরিওয়ালও সেই একই পথ নিলেন। নির্বাচন কমিশন দিন ঘোষণার পরদিনই আপ টুইট করে লারা দত্তর ছবি সম্বলিত একটি পোস্টার। সেই পোস্টারে লেখা 'আপনার দলে কি কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ রয়েছে'? আর এইপ্রশ্নের মধ্য দিয়েই বিজেপি-কে প্রচারের প্রথম পর্ব থেকে চাপে ফেলে দিয়েছে আপ। কারণ, দিল্লি বিজেপি-র সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দক্ষ এক নেতার অভাব।
এখনও পর্যন্ত দিল্লি বিজেপি কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম বেছে নিতে পারেনি। যদিও এটা মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের মতো নেতা ভিত্তিক নির্বাচন নয়, তাহলেও বিজেপির এই দুর্বলতাটা বুঝেই এই চাল দিয়েছেন কেজরিওয়াল। দিল্লির বিজেপি সবাপতি মনোজ তিওয়ারির পূর্বাঞ্চলীয়দের মধ্যে খানিক প্রভাব থাকলেও, তাঁকে নিয়ে কর্মীদের মধ্যেই দ্বিধা রয়েছে। তাই তাঁর নাম আগ বাড়িয়ে ঘোষণা করা হয়নি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো নাম বলতে রয়েছে প্রবীন বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।