উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যু প্রতিবাদে জানাতে বীভৎস ঘটিয়ে ফেললেন এক মহিলা। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে বাইরে নিজের ছয় বছরের মেয়ের গাছেই পেট্রল ছুঁড়লেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটি ভর্তি হাসপাতাসে। ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
স্রেফ গণধর্ষণই নয়, জামিনে ছাড়া পেয়ে গত বৃহস্পতিবার উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতার উপর হামলার চালায় দুই অভিযুক্ত। গ্রামে বাইরে নিয়ে গিয়ে ছুরি আঘাতে প্রথমে ওই তরুণীর শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দেয় তারা। শেষপর্যন্ত গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্তকে প্রথমে ভর্তি করা হয় উন্নাও জেলা হাসপাতালে। লখনউ, কানপুরে ঘুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যখন উন্নাও কাণ্ডের নির্যাতিতাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে আনা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা রীতিমতো সংকটজনক। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ওই তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে।
দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে বেডে শুয়ে প্রায় চল্লিশ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যান উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতা। শেষপর্যন্ত অবশ্য হার মানতে হয় তাঁকে। শুক্রবার বেশি রাতে মারা যান ওই তরুণী। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে সফদরজং হাসপাতাল বাইরে বিক্ষোভে শামিল হন এক মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর ছয় বছরের শিশুকন্যাও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ চলাকালীন আচমকাই নিজের মেয়ে গায়ে পেট্রল ছুঁড়ে দেন তিনি। ঘটনাটি শোরগোল পড়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ শিশুটিকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় সফদরজং হাসপাতালে জরুরি বিভাগে। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই মহিলা? তা স্পষ্ট নয়।