ফের সামনে এল বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্ত জুড়ে চলা নারী পাচার চক্রের কীর্তি। জানা গিয়েছে দিন কয়েক আগে অসমে উত্তর-পূর্ব ভারতের এক তরুণীকে নিগ্রহের যে ভয়ানক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তার পিছনে রয়েছে এই নারী পাচার চক্র। ওই ভিডিও-তে দেখতে পাওয়া দুষ্কৃতীদের সন্ধানে বৃহস্পতিবারই আর্থিক পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল অসম পুলিশ। শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরু পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে অভিযুক্ত সকলকেই তাঁরা গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে।
এক তরুণীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঘটনার সময় সেখানে এক মহিলাও উপস্থিত ছিলেন। মোট ছয় জনকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ওই মহিলাও রয়েছে বলে খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি নেটিজেন ঘটনার কড়া নিন্দা করেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে বেঙ্গালুরু পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৬জনকে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক তরুণীর ওপর প্রচন্ড অত্যাচার চালানো হয়। এমনকী তাঁর যৌনাঙ্গে একটি বোতল ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পরে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। বাইশ বছর বয়েসী ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করার সময়ে, সেখানে এক মহিলাও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ছয় দিন আগে এই ঘটনা ঘটে। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।
বেঙ্গালুরু পুলিশ এরপর তৎপর হয়ে ওঠে। এক বিবৃতিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে ভিডিও ক্লিপ ও অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এদের বিরুদ্ধে। পুলিশ আরও জানিয়েছে অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশী বলে মনে করা হচ্ছে। এদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই।
নির্যাতিতা মহিলা বর্তমানে অন্য কোনও রাজ্যে রয়েছে। সন্ধান মিললেই ওই তরুণীর জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপনে তাংর বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। বেঙ্গালুরুর রামামূর্তি পুলিশ স্টেশনে অভিযুক্তদের আটকে রাখা হয়েছে। গোটা ঘটনায় নারী পাচার চক্রের হাত রয়েছে।