কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে স্বস্তি
আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষে নেমেছে
পাল্লা দিয়ে কমেছে মৃতের সংখ্যা
টিকা কর্মসূচিতেই জোর কেন্দ্রের
প্রায় ৪৪ পরে স্বস্তি দিয়ে শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের অনেকটাই কমে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড ১৯এ আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৬ হাজারেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারেও বেশি মানুষের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় সুস্থ হয়ে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২ কোটি ৭৫ হাজারের বেশি। করোনা বিশ্বে আক্রান্তের ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনা সংক্রমণের প্রথম তরঙ্গের তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক আকার নিয়েছিল। দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্য়ান ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল মৃত্যুর সংখ্যাও। দৈনিক মৃত্যু হয়েছিল ৪ হাজারেও বেশি মানুষের।
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১, ৮৬, ৩৬৪
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩,৬৬০
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২,৫৯,৪৫৯
দেশে মোট আক্রান্ত ২,৭৫,৫৫,৪১০
মোট সুস্থ ২,৪৮,৯৩,৪১০
মোট মৃত্যু ৩,১৮,৮৯৫
অ্যাক্টিভ কেস ২৩,৪৩,১৫২
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশে ২০ কোটি ৫৭ লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে টিকা কর্মসূচি বাড়ানোর ওপরেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই মত দেশীয় টিকার পাশাপাশি বিদেশ থেকেই টিকা আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফাইজার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। বলা হয়েছে তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ভারতে কার্যকর হবে। তাদের টিকা ১২ বছরের উর্ধ্ব যে কোনও ব্যবস্থি ব্যবহার করতে পারবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। কেরল ও কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও দৈনিক সংক্রমণে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে তামিলনাড়ু। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজারেরও বেশি। কেরলে আক্রান্ত ২৪ হাজার ১৬৬ আর কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ২১৪। আগের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ২৭৩।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রথম তরঙ্গের তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গে অনেকটাই বেশি ছিল। প্রথম তরঙ্গের তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গে মৃত্যুর হারও অনেকটাই বেশি ছিল বলেও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে বর্তমানে গোটা বিশ্বের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার হ্রাস পাচ্ছে বলেও জানান হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও টিকা দানের ওপর জোর দিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এখনও পর্যন্ত যে কটি করোনাটিকা বিকাশ করা হয়েছে সেগুলি প্রত্যেকই করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত রূপের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম।