একসঙ্গে নগ্ন করে ব্যক্তিগত সব প্রশ্ন, কেরানি হতে চেয়ে হল ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

সার দিয়ে নগ্ন করে দাঁড়ানো ১০ মহিলা

সকলের সামনেই চলল তাদের শারীরিক পরীক্ষা

খুল্লামখুল্লা জিজ্ঞেস করা হল গোপনীয় সব প্রশ্ন

কেরানি হতে এসে এরকমই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল গুজরাতের এক হাসপাতালে

amartya lahiri | Published : Feb 21, 2020 5:40 PM IST

সার দিয়ে নগ্ন করে দাঁড় করানো হল ১০ জন মহিলা-কে। তারপর সকলের সামনেই এক এক করে চলল তাদের মেডিকাল পরীক্ষা। সেই অবস্থায় খুল্লামখুল্লা জিজ্ঞেস করা হল অত্যন্ত গোপনীয় বিষয়ের প্রশ্ন। এমনকী অবিবাহিতা মহিলাদেরও চরম অস্বস্তিতে ফেলে, তাঁরা গর্ভবতী কি না সেই পরীক্ষা করা হল। গুজরাতের সুরাত পুরসভা পরিচালিত এক হাসপাতালে কেরানির স্থায়ী পদে সুযোগ পাওয়ার জন্য এইরকম ভয়াবহ 'মেডিকেল পরীক্ষা'র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে মহিলা প্রশিক্ষণার্থী কেরানিদের বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের কর্মী ইউনিয়ন অভিযোগ আনতেই নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে শুক্রবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সুরাত-এর পুর কমিশনার বঞ্ছনিধি পানি। হাসপাতালের ডিন বন্দনা দেশাই-এর দাবি তিনি আগে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাননি। পুর কমিশনার-এর নির্দেশের পর অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি এই ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেবে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ ফেব্রুয়ারি, সুরাত পৌরসভা পরিচালিত সুরাত মিউনিসিপাল ইনস্টিটিউট ফর  মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এ। সেখানকার কর্মচারী ইউনিয়ন জানিয়েছে, বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত প্রশিক্ষণার্থীদের তিন বছর পরপর স্থায়ী পদে নিয়োগ করা হয়। নিয়ম অনুসারে, সমস্ত প্রশিক্ষণার্থী-কে এর জন্য তাদের প্রশিক্ষণের সময়সীমা শেষ হওয়ার শারীরিক সুস্থতা প্রমাণে একটি শারীরিক পরীক্ষা দিতে হয়। তারপরে, প্রশিক্ষণার্থীদের একটি ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

সম্প্রতি এই ডাক্তারি পরীক্ষার সময়ই মহিলা প্রশিক্ষমার্থীদের চরম লাঞ্ছনা করা হয় বলে অভিযোগ। ইউনিয়নের দাবি, পরীক্ষার জন্য ঘরে ঘরে মহিলাদের এক-এক করে ডাকার কথা। কিন্তু, এইক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তাররা প্রশিক্ষণার্থীদের দশজন-কে একসঙ্গে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে দেন। সকলে একসঙ্গে নগ্ন হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য করাটা অবৈধ এবং অমানবিক বলে অভিযোগ করেছে তারা।

এছাড়াও তাদের আরও অভিযোগ, মহিলা প্রশিক্ষণার্থীদের গর্ভাবস্থা নিয়ে অত্যন্ত ব্যক্তিগত স্তরের প্রশ্নের উত্তর দিতেও বাধ্য করা হয়েছে। অবিবাহিত মহিলারাও ছাড় পাননি। সকলের সামনেই তাঁরা গর্ভবতী কিনা তা যাচাই করার জন্য তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। অন্য মহিলার সামনে তারা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। তবে ইউনিয়ন এই কথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা বাধ্যতামূলক ডাক্তারি পরীক্ষার বিরোধী নয়, কিন্তু গাইনোকোলজি ওয়ার্ডে মহিলা কর্মীদের যেভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে, তার পদ্ধতিটা ভুল ছিল।

Share this article
click me!