
প্রায় তিন বছর ধরে করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্ব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে ভারত সফলভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এর প্রধান কারণ কেন্দ্রের সফল টিকাকরণ কর্মসূচি। এমনই মনে করছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা ভারতের করোনা যুদ্ধ এবং টিকা অভিযানের প্রশংসা করেছেন।
ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সহ অনেক বিশ্ব নেতার মতে ভারত অভূতপূর্ব কাজ করেছে করোনার বিরুদ্ধে। বিল গেটস এবং মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন দ্বারা আয়োজিত "অক্ষ - ভারত থেকে পাঠ" প্রোগ্রামটি অন্যান্য দেশগুলির গ্রহণ করা উচিত।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াইকে ভারত সফল করে তুলেছে উল্লেখ করে, WHO কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রডেরিকো অফরিন বলেছেন, "আসলে, মহামারীর আগেও, ভারত একটি ভ্যাকসিন সুপার পাওয়ার ছিল -- নিয়মিত অ্যান্টিজেনের জন্য সমস্ত ভ্যাকসিনের ৭০ শতাংশ ভারতে উত্পাদিত হয়।"
করোনার (Corona) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউনিসেফের (UNICEF) আঞ্চলিক প্রধান (Regional Heads and Private Fundraising Officer) ইউসুমাসা কিমুরা (Yusumasa Kimura) ভারতকে (India) অভিনন্দন (congratulated) জানিয়েছেন। ভারত ভ্যাকসিন তৈরি করেছে এবং তার নাগরিকদের করোনা থেকে দূরে রেখেছে বলে জানিয়ে ইউসুমাসা কিমুরা বলেন, ভারতের ভ্যাকসিন অন্যান্য দেশকেও সাহায্য করেছে।
বিশ্ব উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক টিকো কোনিশি বলেছেন যে ভারত অন্যান্য দেশের জন্য একটি মডেল। করোনা লড়াইয়ে চলার পথ দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। বিশ্বকে অবশ্যই ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
বিল গেটস ও মিলিন্ডা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. ক্রিস ইলিয়াস বলেন, করোনার বিরুদ্ধে ভারতের সাফল্যের কিছু মূল কারণ রয়েছে। সাহসী নেতৃত্ব, বিজ্ঞানে উদ্ভাবন, উদ্ভাবনের দ্রুত ব্যবহার, দূরদৃষ্টি প্রকল্প এর প্রধান কারণ। এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
উল্লেখ্য,দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই রাজ্যগুলিকে নতুন করে সতর্ক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার (India Govt) নির্দেশিকায় জানিয়েছেন রাজ্যগুলি যেন করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের ওপর কোনও রকম শিথিলতা না দেখায়। পরীক্ষা, ট্র্যাক, চিকিৎসাসহ কোভিড উপযুক্ত আচরণ অনুসরণ করার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। পাশাপাশি টিকাকরণের ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বর্তমানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমগুলি নতুন করে শুরু হয়েছে। তাই বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে।