'বল জয় শ্রীরাম, বল জয় হনুমান', ১৮ ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে মারা হল ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাকে

  • এক এক করে সংখ্যাটা দাড়াল ১৬-এ
  •  গত ৩ বছরে ১৬ জলকে পিটিয়ে মারা হল ঝাড়খণ্ডে 
  • এই তালিকয় সর্বশেষ সংযোজন সোনু তথা তবরেজ আনসারি। 

arka deb | Published : Jun 24, 2019 6:47 AM IST

এক এক করে সংখ্যাটা দাড়াল ১৬-এ। হ্যাঁ গত ৩ বছরে ১৬ জলকে পিটিয়ে মারা হল ঝাড়খণ্ডে। এই তালিকয় সর্বশেষ সংযোজন সোনু তথা তবরেজ আনসারি। এই নামটিই তাঁর কাল হল।

ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চোর সন্দেহে ফেলে পেটানো হচ্ছে এক যুবককে। ধ্বনি উঠছে জয় শ্রীরাম। এই ব্যক্তি মার খেতে খেতে নিজের নাম প্রকাশ করলে মারের মাত্রা ও জয় শ্রী‌রাম ধ্বনি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু কী অন্যায় করেছিলেন তবরেজ?

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তবরেজকে বাইক চুরির আরোপ দেওয়া হয়েছিল তাঁর নামে। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তাকে মারতে থাকে একদল মানুষ। তবরেজ নিজে বলেছেন, তাঁকে মোটরবাইক দেখতে বলে হাওয়া হয়ে যান দুই ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পরে বেশ কয়েকজন মিলে এসে তাঁর ওপর চড়াও হয়। দীর্ঘ সময় থাকার পরে পুলিশ এসে তাঁর আধমরা দেহটাকে উদ্ধার করে। মরণাপন্ন অবস্থায় তাঁকে আদালতেও নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। জেল হেফাজতে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাবরেজকে। হাসপাতালেই তাবরেজের মৃত্যু  হয়।  
 

সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুনেতে ঝালাই মিস্ত্রির কাজ করা এই ব্যক্তির বাড়ি ঝাড়খণ্ডেই। এদিন সে রওনা হয়েছিল জামশেদপুরের উদ্দেশ্যে। 

ঝাড়খণ্ড পুলিশ মোট ১০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা। এদিনের ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে দাদরি কাণ্ড। সেবারও মহম্মদ আখলখ নামক এক মাংস বিক্রেতাকে গ্রামে মাংস ঢোকানোর অভিযোগে পিটিয়ে মারে এলাকার মানুষ। নৃশংসতার ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁর পরিবারের কাছে। আখলখ কাণ্ডে তদন্তকারী  অফিসার সুবোধ কুমার সিংহও খুন হয়ে যান। প্রসঙ্গত এই নিয়ে যে ১৩ জনকে মারা হল ঝাড়খণ্ডে, তাঁরা সকলেই মুসলমান। যদিও কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন 
এই দায় স্বীকার করেনি। অন্য দিকে নরেন্দ্র মোদীও মার্কিন সরকারের রিপোর্টকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, ভারতবর্ষে মুসলমান শান্তিতে আছে।  

Share this article
click me!