Water Shortage: আর ২৫-৩০ বছর, জল পাবে না ভারত সহ বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ

সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, উষ্ণায়নের জেরে দ্রুতহারে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পৃথিবীর জলস্তর উদ্বেগজনক ভাবে নীচে নেমে যেতে শুরু করেছে। যা বিশেষ ভাবে নজরে এসেছে গত ২০ বছরে। 

Parna Sengupta | Published : Nov 23, 2021 10:43 AM IST

২৯ বছর পর আর জল পাবেন(Water Shortage) না ভারত (India) সহ বিশ্বের (World) ৫০০ কোটির বেশি মানুষ (500 crore people)। এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ (United Nations)। রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশন(World Meteorological Organization)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, উষ্ণায়নের জেরে দ্রুতহারে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পৃথিবীর জলস্তর উদ্বেগজনক ভাবে নীচে নেমে যেতে শুরু করেছে। যা বিশেষ ভাবে নজরে এসেছে গত ২০ বছরে। 

ভূপৃষ্ঠ, ভূপৃষ্ঠের ঠিক নীচের স্তর, বরফ ও তুষারে জমা জলের স্তর গত দু’দশকে যে হারে কমেছে তা আগে কখনও হয়নি। গত ২০ বছরে এই জলস্তর প্রতি বছরে ১ সেন্টিমিটার করে নেমে যাচ্ছে। আর সেটা ২০১৮ সালেই বুঝতে পেরেছেন বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষ। বছরে এক মাস তাঁরা কোনও জলই পাননি।

Latest Videos

পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিতে পারলে ২০৫০ সালে পৌঁছে ছিটেফোঁটা জলও পাবেন না ভারত-সহ বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ। চরম জলাভাব দেখা দেবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ, ভূমধ্যসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায়। চরম জলাভাবে ভুগবে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়াও।

ডব্লিউএমও-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে বন্যাঘটিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা তার আগের দু’দশকের চেয়ে ১৩৪ শতাংশ বেড়েছে।খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলি। রিপোর্টের শিরোনাম- ‘দ্য স্টেট অব ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটার’।

২০১৮ সালে বিশ্ব জুড়ে অন্তত ৩০৬ কোটি মানুষ একমাসের জল সংকটে ভুগেছেন। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাই পৌঁছে যাবে ৫০০ কোটিতে। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, আগামী ২৯ বছরের মধ্যে এই জু সংকট এড়াতে চাইলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে প্রয়োজনমতো, আর লাগাতে হবে প্রচুর গাছ।

দিন দিন পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েই চলেছে, এর ফলে প্রকৃতির আচরণে বদল আসছে। সময়মতো বৃষ্টি হচ্ছে না। কখনও বন্যা, কখনও খরায় ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। এতে চাষের কাজেও ক্ষতি হচ্ছে। সংকট দেখা দিচ্ছে খাদ্যের। গত ২০ বছরেও পানীয় জল অনেকটা কমে এসেছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পৃথিবীর মাত্র ০.৫ শতাংশ জল মানুষের ব্যবহারের যোগ্য।

ডব্লিউএমও-র প্রধান বলেছেন, ‘‘সব রাষ্ট্রনেতাই বলছেন এ বার একটা কিছু করতেই হবে যাতে উষ্ণায়ন আর না বাড়ে। কিন্তু সেই কাজগুলি আজ না করে কাল করব বলে ফেলে রাখলে হবে না। সেরে ফেলতে হবে অবিলম্বে। যে প্রক্রিয়াটাই এখনও অনেক দেশে শুরু হয়নি।’’

Share this article
click me!

Latest Videos

'তৃণমূল সরকার মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তাই পথে নেমে পড়েছে রাজ্য়পাল', মন্তব্য শমীক ভট্টাচার্যের
মহিলাদের নিরাপত্তায় বড় উদ্যোগ! ফ্রী ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবির রাজ্যজুড়ে! | RG Kar
Weather Update : কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত বাংলায়? দেখুন কী বললেন হাওয়া অফিস
আবারও বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা, গর্জে উঠে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী
ভাইদের জন্য সত্য নারায়ণ মিষ্টান্নে নতুন মিষ্টির ভাণ্ডার! Singur-এ ভাই ফোঁটায় উপচে পড়া ভিড়