COVID-19-ভ্যাকসিন নাও, নয়তো মরার জন্য প্রস্তুত থাকো-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্প্যান জানান, করোনার টিকা না নিলে মরার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সবাইকে। জার্মানি জুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই সবাইকে সতর্ক করেছেন স্প্যান। 

Parna Sengupta | Published : Nov 23, 2021 2:42 AM IST

দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনার হার (Covid-19 cases)। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (Delta variant) চোখ রাঙাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানালেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী (German Health Minister)। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে টিকাই একমাত্র হাতিয়ার বলে জানান তিনি। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্প্যান জানান, করোনার টিকা না নিলে মরার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সবাইকে। জার্মানি জুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই সবাইকে সতর্ক করেছেন স্প্যান। 

জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির অর্থ সম্ভবত দেশের প্রত্যেকে যাদের টিকা দেওয়া হয়নি তারা শীতের শেষের দিকে COVID-19-এ আক্রান্ত হবে এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা যাবে। সরকারী পরিসংখ্যান বলছে গত ২৪ ঘন্টায় জার্মানিতে ৩০ হাজারেরও বেশি নতুন পজেটিভ কেস এসেছে। যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এই সপ্তাহে দেশটি এক লক্ষ করোনা ভাইরাস-সম্পর্কিত মৃত্যু অতিক্রম করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জার্মানি জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালও করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হাসপাতালগুলি সতর্ক করেছে এই মর্মে  যে আইসিইউর ক্ষমতা প্রায় শেষ হয়ে গেছে, কিছু রোগীকে জার্মানির অন্যান্য অংশের ক্লিনিকে স্থানান্তরিত করতে হবে। গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান জার্মানদের টিকা নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন। জোর দেওয়া হচ্ছে বুস্টার শটের ওপরেও। 

স্পান বলেন, মডার্না এবং বায়োএনটেক-ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডোজ বছরের বাকি সময়গুলিতে সহজলভ্য করা হবে যাতে লোকেরা প্রয়োজন অনুসারে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শট নিতে পারে। এই নীতির প্রণয়নের জন্য জার্মানি মূলত দরিদ্র দেশগুলির জন্য বরাদ্দ হওয়া লক্ষ লক্ষ ডোজ আটকে রেখেছে। জার্মানির কিছু রাজনীতিবিদ পরামর্শ দিয়েছেন যে দেশটিকে তার প্রতিবেশী অস্ট্রিয়ার মতো বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে হবে। জার্মানির ৮৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৬৮ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়েছে। 

এদিকে, যত শীত এগিয়ে আসছে, ততই ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলি, ফের লকডাউন দারি করার কথা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসেও (Netherlands) ইতিমধ্যেই ফের একটি আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেই দেশের, বার এবং রেস্তোঁরাগুলি এখন রাত ৮ টায় বন্ধ করে দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আরও অনেক দেশই একই দিকে এগোচ্ছে। কাজেই, টিকা আসার পর প্রায় বছর ঘুরতে চললেও, করোনার করাল ছায়া থেকে পৃথিবী যে পুরোপুরি মুক্ত হয়নি, তা একেবারে স্পষ্ট। 

Share this article
click me!