অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নীল গ্যারেথ বার্ড। ইংল্যান্ডের বাসিন্দা তিনি। বছর পঁয়তাল্লিশের এই যুবক এক কুকুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। আর সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে রেখেছিলেন তিনি। তারপর তা ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এক পরিচিতের কাছে।
মানুষ (Human Being) পারে না এমন কাজ হয়তো পৃথিবীতে (Earth) নেই। পশুপাখির (Animal) থেকে মানুষ অনেক বেশি হিংস্র হয়ে থাকে। মানুষের হাত থেকে রেহাই পায় না কেউই। পশুপাখিদের মাঝে মধ্যেই মানুষের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আর এবার এক ব্যক্তির লালসার শিকার হল এক কুকুর (Man Sex Act with Dog)। সেই কুকুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময় তা ক্যামেরাবন্দীও করেছিলেন তিনি। আর তার জেরেই গ্রেফতার (prison sentence) করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নীল গ্যারেথ বার্ড (Neil Gareth Bird)। ইংল্যান্ডের বাসিন্দা তিনি। বছর পঁয়তাল্লিশের এই যুবক এক কুকুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। আর সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে রেখেছিলেন তিনি। তারপর তা ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এক পরিচিতের কাছে। আর সেখান থেকেই বিষয়টা ছড়িয়ে পড়ে চারিপাশে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় ইয়র্ক ক্রাউন কোর্ট (York Crown Court)।
আরও পড়ুন- এবার ঘুম ভাঙবে এক কাপ 'জেলেনস্কি'-তে, বাজারে এল অসমের অ্যারোম্যাটিক টি
তবে শুধুমাত্র কুকুরের সঙ্গেই নয়। নীল এর আগে কিশোরের সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এমনকী, সেই মুহূর্তও ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন তিনি। সব সময় ইন্টারনেটে যৌনতা নিয়ে সার্চ করতেন। যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি নিয়েও ইন্টারনেটে খোঁজ খবর চালাতেন। এরপর বাচ্চাদের সব অশালীন ছবিও ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
ডিফেন্সের ব্যারিস্টার ক্যাথরিন রবিনসন বলেন, বার্ডের ফোনে কুকুরের ওই ভিডিও পাওয়া গিয়েছিল। পাশাপাশি তিনি নিজে ওই ভিডিও করেছিলেন বলে স্বীকারও করে নেন বার্ড। আসলে কোনওরকম তর্কের সময় সেটি পাঠানোই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। এটা যৌন তৃপ্তির জন্য নাকি তিনি একেবারেই করেননি।
আরও পড়ুন- আরও বিধ্বংসী রাশিয়া গুঁড়িয়ে দিল ইউক্রেনের স্কুল, যুদ্ধে সামিল চেচেনাও
নীলের ফোন থেকে এই ধরনের একাধিক ভিডিও ও অশালীন ছবি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে দুটি ভিডিও তিনি নিজেই শুট করেছিলেন। এছাড়া শিশুদের একাধিক অশালীন ছবির নিজের ফোনে রাখতেন তিনি। তাঁর ফোনে মোট ৩৮টি পর্নগ্রাফির ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি অশালীন ছবি ছিল যেখানে ৭ থেকে ১০ বছর বয়সী নাবালিকাকে দেখা গিয়েছে। আর তার সঙ্গে ছিল এক কিশোরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার একটি ভিডিও। তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করে ২০ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া আগামী ১০ বছর যৌন নির্যাতক হিসেবে তাঁর নাম রেজিস্টার করা থাকবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
ডেপুটি সার্কিট বিচারক টিম ক্লেসনের মতে, এই শাস্তি নীলের জন্য একেবারেই সঠিক নয়। কারণ এই শাস্তি পাওয়ার পর যে নীল আর কোনও ধরনের যৌন নির্যাতন মূলক কাজ করবেন না তা কখনওই নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।
আরও পড়ুন- পোল্যান্ডের প্রায় সীমান্তে দাঁড়িয়ে রাশিয়া, মিত্র দেশকে বাঁচাতে মিসাইল পাঠাল ব্রিটেন
তবে যে কিশোরের সঙ্গে নীল যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল একটি অনলাইন ডেটিং সাইটের মাধ্যমে। নীলের সঙ্গে সেই সাইটের মাধ্যমেই তার কথা হয়েছিল। আর সেখানে নিজের বয়স লুকিয়ে গিয়েছিল ওই কিশোর। জানিয়েছিল তার বয়স ১৮ বছর। এরপর নীলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল তাকে। আর সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দীও করা হয়েছিল। নীলের ফোন ও ট্যাব খতিয়ে দেখে সেই সব ভিডিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এমনকী, ওই কিশোরের সঙ্গে নীলের একাধিক অশালীন ছবিও উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ধরনের একাধিক তথ্য প্রমাণ হাতে আসার পরই নীলকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালত।