সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক মহিলার তালিবানদের নির্মম অত্যাচারের ছবি তুলে ধরেছে। মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যেখানে যে দাবি করেছে তালিবান কমান্ডার তাঁকে যৌনতায় আহ্বান জানিয়েছিল।
তালিবানরা (Taliban) যখন আফগানিস্তান (Aghanistan) এপ্রিল মাসে ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিল যে পুরোনা তালিবানদের মত তারা কঠোর হবে না। নারী (Woman) স্বাধীনতা আর নিরাপত্তায় জোর দেবে। কিন্তু তালিবানি শাসনের ৬ মাস যেতে না যেতেই আফগান মহিলাদের (Afghanistan Girl) দুর্দশার করুণ ছবি গোটা বিশ্বের সামনে আসছে। তালিবানরা যে তাদের কথা রাখেনি তা আরও একবার প্রকাশ্যে এল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক মহিলার তালিবানদের নির্মম অত্যাচারের ছবি তুলে ধরেছে। মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যেখানে যে দাবি করেছে তালিবান কমান্ডার তাঁকে যৌনতায় আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তালিবান কমান্ডারের যৌনতার আবেদন তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারপরই তালিবানরা তাঁকে মারধর করে। শরীরের ক্ষত চিহ্নর ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলেন ওই মহিলা। স্থানীয় প্রতিবেদন ও ভিডিও অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে হেরাতে।
টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা গেছে মহিলা যখন ভিডিও শ্যুট করেছিলেন তখন তিনি কাঁদছিলেন। পিঠ, পাসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। মহিলার সারা শরীরে লাল দাগ হয়েছিল।
যদিও তালিবানরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা তাদের সমর্থনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। তালিবানদের দাবি মহিলার এই অত্যাচারের সঙ্গে তালিবান কমান্ডারের কোনও যোগ নেই। একটি মেয়েরও বক্তব্য তালিবারা প্রচার করেছে। সেই ভিডিওতে, যেখানে তারা দাবি করেছে তালিবান কমান্ডারের সঙ্গে সেই মহিলার কোনও যোগাযোগ নেই। অন্তবর্তী তালিবান সরকারের আভ্যন্তরীন বিষয়ক মন্ত্রক সেই ভিডিও পোস্ট করে।
যাইহোক তালিবান সমালোচকদের দাবি যে মেয়েটি দাবি করছে তাঁর নির্যাতনের সঙ্গে তালিবান কমান্ডারের যোগ নেই সে ভিডিওর নির্যাতিতা আফগান মহিলা নয়। দুটি ভিডিওতে দুই মহিলা আলাদা। এই ভিডিও এমন সময় প্রকাশ্যে এসেছে যখন তালিবান শাসনে মহিলারা স্বাধীনতা, নিরাপত্তা আর শিক্ষার দাবিতে আন্দোলন করছে। কখন প্রকাশ্যে। কখনও অন্তরালে। অনেক মহিলাই রয়েছে গোপনে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এইভাবে আর কতদিন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। যদিও তালিবাম মন্ত্রীরা দাবি করছেন মহিলাদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আতঙ্ক কাটিয়ে কজন ছাত্রী সেখানে আসছে তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।