ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা দ্যা অরভারভার ডায়েরিটি হাতে পেয়েছিল। এই ডাইরির একটি লেখা অনুযায়ী তৎকালীন লন্ডনের মেয়র তাঁর ব্যবসায়ীক ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে আরও কঠোর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson)। 'প্রাক্তন প্রেমিকার' ডায়েরি নতুন করে বিতর্কে ফেলেছে তাঁকে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রেমিকে জেনিফার আরকিউরি (Jennifer Arcuri)। তাঁর অপ্রকাশিত ডায়েরির প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী একটা সময় তাঁর ব্যবসার স্বার্থ দেখতে গিয়ে কী ভাবে কর্মীদের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে ছিলেন। জিনেফার আরকিউরি একজন মার্কিন মহিলা। সেদেশের বিজনেজ ওমেন হিসেবে তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা দ্যা অরভারভার ডায়েরিটি হাতে পেয়েছিল। এই ডাইরির একটি লেখা অনুযায়ী তৎকালীন লন্ডনের মেয়র তাঁর ব্যবসায়ীক ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে আরও কঠোর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁর প্রায় 'টুঁটি চিপে' ধরেছিলেন। লন্ডনের ২০০৮-২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান ব্রিটিশ প্রধাননন্ত্রী বরিস জনসন। ডায়েরিতে লেখা অনুযায়ী বরিস জনসনকে তদন্তের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে।
Indian Railway: আগামী ৭ দিন ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে টিকিট সংরক্ষণ,জেনে নিন কখন টিকিট কাটা যাবে না
CBI,ED: সিবিআই, ইডি-র প্রধানদের মেয়াদ বৃদ্ধি, অধ্যাদেশ আনল মোদী সরকার
জনসনের সঙ্গে জেনিফার আরকিউরি যেসময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেই সময়ই এই ডায়েরি লেখা হয়েছিল। সেই লেখা অনুযায়ী স্পষ্ট যে মহিলার ব্যবস্য়ায়িক স্বার্থ রক্ষার জন্য বরিস জনসন সেই সময় সরকারি অফিসের নিয়ম 'হেলায়' ভেঙে ছিলেন। যদিও বরিস জনসনের কর্মীরা তাঁকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি সেসব কিছুতেই কান দেননি। মহিলার লেখা অনুযায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সেই সময় তাঁর ব্যবসার প্রচারে সাহায্য করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। মহিলার ডায়েরিতে আরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কারণ সেই সময় তিনি ছিলেন ২৭ বছরের তরুণী। বরিস তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেও চেয়েছিলেন।
S-400 Missile: চিনা হুমকি মোকাবিলায় আরও শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত, রাশিয়া থেকে আসছে এস-৪০০ মিসাইল
২০১৯ সালে আরকিউরি জনসনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কি নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরির অনুমতি দিয়েছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক জন ওয়ারকে। সেই সময়ই তিনি তাঁর লেখা ডায়েরিতে সাংবাদিকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে জনসনের পাব্লিক প্রোবিটি সম্পর্কে বিবৃতি দেওয়ার সময় আরকিউরি ওয়্যারকে তাঁর ডায়েরির কিছু কিছু অংশ প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি সংসদরা কীভাবে নিয়ম ভাঙেন তা যেমন তুলে ধরাতে বলেছেন তেমনই শাস্তিও দাবি জানিয়েছেন।
এই ডায়েরি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি বরিস জনসন। তবে এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, মেয়র হিসেবে বরিস জনসন সেই সময় গ্রেটার লন্ডন অ্যাসেম্বির আচরণবিধি ও সমস্ত কাজ আইন মেনেই করেছিলেন। জেনিফার মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থার মালকিন। তিনি ২০১১-১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে ছিলেন। তারপর আবার ক্যালিফোর্নিয়া ফিরে আসেন।