জ্বলছে ভবিষ্যত, তালিবান রোষ থেকে বাঁচতে পুড়িয়ে ফেলা হল আফগান ছাত্রীদের সব নথি

Published : Aug 22, 2021, 04:02 PM ISTUpdated : Aug 22, 2021, 04:03 PM IST
জ্বলছে ভবিষ্যত, তালিবান রোষ থেকে বাঁচতে পুড়িয়ে ফেলা হল আফগান ছাত্রীদের সব নথি

সংক্ষিপ্ত

আফগান ছাত্রীদের জন্য তৈরি করা একটি বোর্ডিং স্কুলে ছাত্রীদের সব রেকর্ড পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। স্কুলের সহ প্রতিষ্ঠাতা নিজে ওই  কাজ করেছেন। 

জ্বালিয়ে দেওয়া হল সব নথি। যাতে কোনও প্রমাণ হাতে না যায় তালিবানদের। আফগান ছাত্রীদের ভবিষ্যত এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। আফগান ছাত্রীদের জন্য তৈরি করা একটি বোর্ডিং স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। স্কুলের সহ প্রতিষ্ঠাতা নিজে ওই ছাত্রীদের সব রেকর্ড পুড়িয়ে ফেলেছেন। তাঁর দাবি, আগে প্রাণ বাঁচুক, তারপর শিক্ষাদান। এই ভিডিও আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে গোটা নেটদুনিয়ায়। 

নারীর অধিকার ও নিরাপত্তার জন্য যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তারই রেশ টেনেছে এই ঘটনা। আফগানিস্তানে (Afghanistan) মেয়েদের একমাত্র বোর্ডিং স্কুলের (girls boarding school) সহ-প্রতিষ্ঠাতা শাবানা বাসিজ-রশিখ শুক্রবার গভীর রাতে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি তার ছাত্রীদের রেকর্ড পুড়িয়ে (burns student records) দিচ্ছেন। তিনি দাবি করেন যে এটি মুছে ফেলার জন্য নয়, বরং শিক্ষার্থীদের এবং তাদের পরিবারকে তালেবানদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য করা হচ্ছে।

তাঁর টুইটে, তিনি বলেছেন, গোটা বিশ্ব যখন সেই আফগানদের দিকে নজর দিচ্ছে, যাঁরা পালাতে চাইছে, তিনি তখন মেয়েদের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নিজের ধর্ম পালন করছিল। কারণ তাঁর ছাত্রীদের কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। 

তিনি বলেন অনেকেই পালিয়ে নিজেদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই ছাত্রীদের কোথাও যাওয়ার নেই। তাঁরা ভেঙে পড়ছে ক্রমশ। সেই বিধ্বস্ত ছাত্রীদের বাঁচাতেই এই কাজ তাঁকে করতে হয়েছে। তিনি নিজের টুইটে আরও বলেন, এই ভিডিও আফগানিস্তানের প্রকৃত ছবি তুলে ধরবে। তিনি তার স্কুল, SOLA (স্কুল অফ লিডারশিপ আফগানিস্তান) এর জন্য অনুদান চেয়ে একটি লিঙ্কও পোস্ট করেছিলেন। সোলা তাঁর কাছে শান্তি ও নারী উন্নয়নের প্রতীক।

শাবানা বাসিজ বলেন প্রায় ১০০ জন ছাত্রী এখানে শিক্ষালাভ করে। তাঁর এই মিশন আত্মসম্মান, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় ছাত্রীদের। এই ছাত্রীরা তিনটি প্রোগ্রামে অংশ নেয়-একটি pre-6th grade, মিডল স্কুল প্রোগ্রাম এবং হাই স্কুল প্রোগ্রাম। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস হয়। যাইহোক, কোভিড -১৯ সংক্রমণের জন্য অনলাইনে ক্লাস চলছিল। 

আফগানিস্তান দখল করার পরই স্বমূর্তি ধারণ করতে শুরু করেছে তালিবান। একাধিক ফতোয়া জারি করা হয়েছে সেদেশে। মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ছেলেদের উপরও বিভিন্ন ফতোয়া জারি করা হয়েছে। আর তা না মানলেই চলছে অকথ্য অত্যাচার। দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই দেখা মিলছে বন্দুকধারী তালিবান যোদ্ধার। 

PREV
click me!

Recommended Stories

ডার্ক চকোলেট কি বার্ধক্য কমায়? থিওব্রোমিনের শক্তিতেই ভরসা রাখছেন বিজ্ঞানীরা
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী: ২০২৬ সাল কি খুব ভয়ঙ্কর হবে? জানা গেল অজানা তথ্য