চরম টানাপোড়েনের মধ্যেই আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। কাবুল বিমানবন্দরে এক ঘন্টা দেরিতে অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়া এআই -২৪৩।
চরম টানাপোড়েনের মধ্যেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) কাবুল (Kabul) বিমানবন্দরে পৌঁছল এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান। কাবুল বিমানবন্দরে এক ঘন্টা দেরিতে অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়া এআই -২৪৩। রবিবার সকালেই নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাবুলের উদ্দেশে রওনা দেয় এই এয়ারক্রাফট।
কাবুল থেকে আটকে পড়া ভারতীদের নিয়ে ফিরবে এই বিশেষ বিমান। ইতিমধ্যেই যাত্রীদের বিমানে চড়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের কাবুল এভিয়েশন অথরিটি বলেছিল, যে ভারতীয় যাত্রীরা তাদের দেশে ফিরে যেতে চায় তাদের বোর্ডিং শুরু করতে, বর্তমানে নিরাপত্তা চেক বোর্ডিং এবং প্রক্রিয়া চলছে।
দুঘন্টা ২০মিনিটের যাত্রাপথে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিকে প্রায় এক ঘন্টা ধরে কাবুল বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কারণ তালিবানদের কাবুল দখলের জন্য কাবুল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কাজ করতে পারছিল না। বিশেষ সূত্রে খবর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি কাবুলের আকাশসীমায় ওড়ার কারণে অবতরণের অনুমতি দেয়নি এটিসি, অবশেষে বিমানটি কাবুল বিমানবন্দরে অবতরণ করা হয়।
আগে এয়ার ইন্ডিয়া সপ্তাহে তিনদিন করে কাবুল বিমানবন্দরে অবতরণ করত। তবে বর্তমানে বিশেষ পরিস্থিতির জন্য সপ্তাহে প্রতিদিনই কাবুল যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। আফগানিস্তানে চলমান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ভারত আফগানিস্তানের আকাশসীমা এড়ানোর বিষয়ে কোনও সতর্কতা জারি করেছে কিনা, তার উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে আকাশসীমা এড়ানোর কোনও সতর্কতা দেওয়া হয়নি।
এদিক, রবিবারই কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালিবানরা। তারপরই তালিবানদের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে গেছে আলোচনার জন্য। অন্যদিকে তালিবানরা কাবুলের বাসিন্দা ও বিদেশিদের আশ্বস্ত করেছে জোর করে তারা ক্ষমতা দখল করবে না। আলোচনা মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরই চাইছে তারা।
সূত্রের খবর নতুন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল ঘানি। তবে তার আগেই একটি সমান্তরাল সরকারও তৈরি করেছে তালিবানরা। একটি সূত্র বলছে আফগানিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আহমেদ জালালি নতুন ট্রানজিশনাল সরকারের প্রধান হতে চলেছেন। এক বিবৃতি দিয়ে তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, কাবুলে যুদ্ধ না করার কথা ঘোষণা করেছে। যা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরও প্রশংসা করেছেন। ঈশ্বরের সাহায্যেই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কাবুল একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তাই তালিবানরা যুদ্ধ করা থেকে বিরত রয়েছে। জোর করে আফগান রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে চায় না তালিবানরা। শান্তিপূর্ণ উপায়ই রাজধানীর দখল নিতে চায় বলেও জানিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র।