ডেইলি মেল সূত্রে খবর ১৮ মাস আগে পুতিনের পেটের ক্যান্সার এবং পারকিনসন্স রয়েছে বলে জানা যায়। তবে তিনি অস্ত্রোপচারে বিলম্ব করেন।
পদ থেকে সরছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই নাকি সত্যি। ক্রেমলিন থেকে পাওয়া রিপোর্ট বলছে দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন পুতিন। বা বলা ভালো তিনি সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু রাশিয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিপতির আচমকা কি এমন হল. যে রীতিমত পদ থেকে সরতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। এই প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক। তারওপর বিস্মিত হওয়ার কারণ এটাই যে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ এখনও চলছে, যার মূল দিশা দেখাচ্ছেন পুতিন। সেই যুদ্ধের মায়া ত্যাগ করে কীভাবে পদ থেকে সরে যাচ্ছেন তিনি। রিপোর্টে উত্তর মিলেছে সেসব প্রশ্নের।
জানা গিয়েছে রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন কয়েক দিনের জন্য ইউক্রেনের যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যই সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন তিনি। এই চিকিৎসা চলাকালীন ইউক্রেনের ওপর আক্রমণের সাময়িক নিয়ন্ত্রণ নিতে কট্টরপন্থী প্রাক্তন এফএসবি প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভকে মনোনীত করেছেন পুতিন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ৭০ বছর বয়সী বর্তমান সেক্রেটারি পাত্রুশেভ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি তৈরির অন্যতম মাথা। ক্ষমতায় কতদিনে ফিরবেন পুতিন? ক্রেমলিন জানাচ্ছে, বেশিদিন নয়, সাময়িক বিরতির পর খানিক সুস্থ হওয়ার পরেই ফের স্বমহিমায় দেখা যাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে। তবে জানা গিয়েছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি ছিলেন না পুতিন। শারীরিক অসুস্থতার জন্যই তাকে সরে যেতে হচ্ছে।
যদিও পাত্রুশেভের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি বেশ অবাক করেছে রাজনৈতিক মহলকে। কারণ সাধারণত রাশিয়ান সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে ক্ষমতা পাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ডেইলি মেল সূত্রে খবর ১৮ মাস আগে পুতিনের পেটের ক্যান্সার এবং পারকিনসন্স রয়েছে বলে জানা যায়। তবে তিনি অস্ত্রোপচারে বিলম্ব করেন।